হাওড়া, ৩ মে:- পাড়ায় পাড়ায় অনেক সমস্যা। কেউ অক্সিজেন পাচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেন সাপ্লাই ঠিকমতো দিতে পারছে না। ভ্যাক্সিনের সাপ্লাই ঠিকমতো হচ্ছে না। নানা ধরণের অসুবিধা সত্ত্বেও মানুষের পাশে আমরা রয়েছি। সেই অসুবিধাগুলো দূর করতে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। বহু জায়গায় অক্সিজেন পার্লার হয়েছে। সেফ হোম চালু হয়েছে। মানুষের পাশে থাকা এটা আমাদের দলের সকলেরই একটা কর্তব্য। এটা কাজের অঙ্গ। মানুষের পাশে থাকাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রধান কাজ। সারা বছর আমরা মানুষের পাশে থাকব। এই কর্মসূচিও তারই একটি অঙ্গ। এদিন হাওড়ায় কমিউনিটি কিচেন কর্মসূচির উদ্বোধনে এসে দাবি অরূপ রায়ের।হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৯ নং ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দাশনগরে এই কমিউনিটি কিচেনের শুভ সূচনা হয় আজ। বৃহস্পতিবার সকালে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। আজ থেকে আগামী ১৫ দিন রোজ সাধারণ মানুষকে এই পরিষেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
এদিন কমিউনিটি কিচেন কর্মসূচির সূচনা করে অরূপ রায় সাংবাদিকদের বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রথম এই কমিউনিটি কিচেন এর কথা বলেন। এরপর কিছু হৃদয়বান মানুষ যাঁদের অর্থবল আছে, তাঁরা চেষ্টা করে আন্তরিকভাবে এই কাজে এগিয়ে এসেছেন। এখানে প্রতিদিন চারশ মানুষকে বিনামূল্যে রান্না করা খাবার প্রদান করা হবে। আগামী ১৫ দিন ধরে ধারাবাহিক এই কর্মসূচি চলবে। পরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে লকডাউন উঠে গেলে তখন পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই কমিউনিটি কিচেন কর্মসূচি অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। গরীব মানুষ যাতে খাবার পায় তারজন্য এটা মহৎ সিদ্ধান্ত। অনেকের রোজগার বন্ধ। অনেককে অভুক্ত থাকতে হয়। সেটা যাতে না হয় তারজন্যই এই ব্যবস্থা। শুভাশীষ পাল, ভাস্কর ভট্টাচার্য, চন্দনকান্তি চক্রবর্তী, সুব্রত পোল্ল্যের মতো অনেক সহকর্মী যাঁরা এই মহৎ কাজে উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। লকডাউনে যারা অভুক্ত আছেন, যাদের কাজ নেই, যারা দিন আনে দিন খায় তাঁদের পাশে থাকাই এই কমিউনিটি কিচেন কর্মসূচির উদ্দেশ্য।”