হাওড়া, ২৪ মে:- এই মুহূর্তে সর্বত্র অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার চলছে। যাদের প্রয়োজন হচ্ছে তাঁরা বুঝতে পারছেন সমস্যাটা কত গভীরে। যাঁদের প্রয়োজন পড়ছে না তাঁরা এখনও টের পাচ্ছেন না বিষয়টা। খবরের কাগজে খবর পড়া আর নিজে সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য। অক্সিজেন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই প্রতিদিন নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। সেই উপলব্ধি থেকেই হাওড়া সালকিয়া ‘চিন্তন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানুষের বিপদে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সংস্থার বক্তব্য, “বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা ভাবে অক্সিজেন স্টোর করে রেখেছেন অনেক সংস্থা। ‘যদি লাগে’ এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ডিস্ট্রিবিউট করে দিন। ভালব বা ফ্লো মিটার না থাকলেও সেটা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিন। কারণ, কোথাও ভালবের অভাব, কোথাও সিলিন্ডারের অভাব হচ্ছে। হতে পারে অনেকের কাছে ভালব আছে কিন্তু সিলিন্ডার পাচ্ছেন না। এছাড়াও ব্যক্তিগত ভাবেও অনেকে চড়াদামে সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে স্টোর করে রাখছেন।
একবার ভাবুন আপনার বাড়িতে জীবনদায়ী জিনিসটা পড়ে নষ্ট হচ্ছে অথচ অনেকে অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন। নিজেকে উল্টোদিকে রেখে দেখুন প্লিজ। আমরা সাতদিনের জন্য সিলিন্ডার দিচ্ছিলাম প্রথম দিকে। রোগী দু-তিন দিনের মাথায় মারা যাওয়ার পরও আমাদের কিছু জানায়নি বাড়ির লোক। আটকে রেখেছিলেন সিলিন্ডার। এদিকে অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সিলিন্ডার নেই বলে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে আমাদের। রোগীর প্রয়োজন না হলে ফিরিয়ে দিন সিলিন্ডার। সেটা আরেকজনের প্রাণ রক্ষা করবে। এই মহামারীর সময় যারা অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভালব ইত্যাদি নিয়ে কালোবাজারি করছেন তারা একটু মানবিক হোন দয়া করে। রোগীর বাড়ির লোকের অসহায়তার সুযোগ নেবেন না। জীবনদায়ী জিনিস নিয়ে অমানবিক হবেন না। ‘চিন্তন’ সকলের ভালবাসার ক্লাব। কোনো ধর্মীয়, রাজনৈতিক বা লাভজনক সংস্থা নয়। আমরা খুব ছোট ক্লাব কিন্তু চিন্তাভাবনা অনেক বড়।”