আরামবাগ, ২০ মে:- করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলছে রাজ্য জুড়ে। শুনশান রাস্তা। এই সুযোগে প্রেমিক ও প্রেমিকা ঘর ছাড়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্য। কিন্তু আরামবাগের পল্লীশ্রীতে ট্রাফিক পুলিশ ও আরামবাগ পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন ধরা পড়ে যায় প্রেমিক ও প্রেমিকা। আরামবাগ ট্রাফিক পুলিশের দক্ষ পুলিশ অফিসার অমিয় পালের জেরার মুখে পড়ে তারা। হেলমেট পড়ে না থাকায় অমিয়বাবু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। এরপরই আসল উদ্দেশ্য ধরা পড়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক বছরের প্রেমের পর ঘর বাঁধতে প্রেমিক, প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই পিসির বাড়িতে পাড়ি দিচ্ছিলো। এক নতুন জীবন। নতুন ঘর বাঁধার উদ্দেশ্য। কিন্তু পুলিশের জালে ধরা পড়লেও তাদের উদ্দেশ্যকে দুই পরিবারকে জানানো কতব্য বলে মনে করে পুলিশ। তাদের বিয়ে যাতে দুই পরিবারে সম্মতিতে হয় অথবা এই দুই প্রেমিক ও প্রেমিকার সাথে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্য দুই পরিবারকে ফোন করে পুলিশ।
পাশাপাশি তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আছে। জানা গিয়েছে প্রেমিকের বাড়ি বর্ধমানের রায়না এলাকায়। নাম সুরজিৎ পোড়েল। আর মেয়েটির নাম মনিমালা মালিক। বাড়ি গোঘাটের মীর্গাচাঁদরা এলাকায়। এই বিষয়ে তরতাজা যুবক সুজিৎ পোড়েল জানায়, তিন বছর ধরে ভালোবাসি। মেয়েটির বাড়ির লোকজন দেখাশোনা ঠিক করে। আমার সাথে বিয়ে দেবে না। কারন আমাদের কোনও জমি নেই। আমি বন্ধন ব্যঙ্কের লোন বিভাগে কাজ করি।মেয়েটির ও আমার বয়স আঠারো বছর হয়ে গেছে। তাই বিয়ে করার জন্য পিসির বাড়ি যাচ্ছিলাম। এখন বাড়ির লোকজন আসছে। যা বলবে তাই করতে হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখার এই প্রেমিক ও প্রেমিকা ঘর বাঁধতে পারে কিনা। তবে এলাকার মানুষের দাবী যদি ছেলে মেয়ে দুটির আইন অনুযায়ী বিয়ে বয়েস হয় তাহলে দুই পরিবারের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এখন দেখার এই লকডাউন প্রেম ও বিয়ের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়া সফল হয় কিনা।