এই মুহূর্তে জেলা

যে যা ভাবে ভাবুক না , শেষবেলায় মদের লাইনে দিনমজুর থেকে কোটিপতি !!


সুদীপ দাস , ১৫ মে:- গতবছর কোভিড আবহে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছিলো লকডাউন। সাধারন মানুষের যখন দু’বেলা খাবার হাহাকার মেটাতে দিকে দিকে শুরু হয়েছিলো খাদ্যসামগ্রী বন্টন। যা নিতে রিতিমত লাইন পড়তো সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের। এটা ছিলো দিনের আলোয় জনসমক্ষের চিত্র। আর একটা চিত্র ছিলো জনচক্ষুর আড়ালে। তা হলো মদ্যপায়ীদের হাহাকার। মদের জন্য কত যে ছোটাছুটি তাঁরা করেছে তা সবের হদিস পাওয়া দায়। বহুবার খবরেও এসেছে কালো বাজারে সঠিক মূল্যের কয়েকগুন বেশী দামে মদ বিক্রির কথা। আর বহুদিন পর যখন কয়েকঘন্টার জন্য মদের দোকানের ঝাঁপ খোলার কথা ঘোষনা হয়, তখন দোকানের বাইরে মদ প্রেমীদের দীর্ঘ লাইনের ছবি আজও অনেকের চোখে ভাসে। শনিবার দুপুরে লকডাউন ঘোষনা হওয়ার পর প্রত্যাশা মতই সুরাপ্রেমীরা ভিড় জমালো মদের দোকানে।

কারন সরকারি ঘোষনা মত আগামিকাল থেকে টানা ১৫ দিন মদের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ থাকার কথা। আর শেষ বেলাতেও বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দু’ঘন্টা দোকান খোলা। এই দু’ঘন্টাতেই স্বার্থসিদ্ধি করতে হবে। তাই দোকান খোলার আগের থেকেই লম্বা লাইন পরে যায় দেশী-বিদেশী মদের দোকানগুলিতে। এই লাইনে থাকা অনেকেই আগামি কয়েকদিন চুটিয়ে কালো বাজারে মদ বেঁচবে। আবার যাদের গাটের কড়ি কম তাঁরা দু’একদিনের জন্য হলেও দু’একটা বোতল ন্যার্য্য দামে তুলে নিতে চায়। কারন গতবছর কালো বাজারে মদের দাম গোনার পর অনেকেরই নেশা ছুটেছে। তাই এবারে ন্যার্য্য দামে যে ক’দিন চুটিয়ে অসীম সাগরে ডুব দেওয়া যায় আর কি! সেজন্যই যে সকল ন্যাড়ারা বেলতলায় একবারই যায়, তাঁদের বক্তব্য মধু পান করতে পারি, মাছির কামড় সইতে নারি!