হুগলি , ১৪ মে:- এমনই অভিজ্ঞতার স্বীকার কোন্নগরের যুবতি তনুশ্রী মজুমদার। তার স্বামী মেহতাব আলম আনসারিকে ভর্তি করেন হিন্দমোটরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে। কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে গতকাল। অক্সিজেন লেভেল কমতে থাকে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় অবস্থা ভালো না, অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। হিন্দমোটর অঞ্চলে কোনো সিসিইউ অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে দমদমের এক বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোাগ করে।
হিন্দমোটর থেকে কলকাতার কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কোথাও ভর্তি হতে না পেরে প্রায় ছয় ঘন্টা পর আবার হিন্দমোটরে ফিরে আসে। ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া গুনে নেয় অ্যাম্বুলেন্স। টাকা না থাকায় নিজের গলার সোনার চেন বন্দক রেখে টাকা মেটান যুবতী। করোনা কালে মানুষের পরিস্থির সুযোগ নিয়ে এই ধরনের লাগাম ছাড়া দর হাঁকছে বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স। আর রোগি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সেই বেশি দরই মেটাতে হচ্ছে রোগির পরিবারকে।