সুদীপ দাস , ১১ মে:- বাঁশবেড়িয়ার প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধানের উপরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হলো ঘটনায় অভিযুক্ত বাঁশবেড়িয়ার পৌরপ্রধানার স্বামী সোনা শীলের বাড়ি। বাড়িতে থাকা একাধিক মোটর বাইকে ভাঙচুরের পাশাপাশি ঘরে ঢুকে বিভিন্ন আসবাব পত্রে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বাঁশবেড়িয়া খেলার মাঠের সামনে সোনার বিশালাকার গেষ্ট হাউজে। উত্তেজিত জনতারা উপস্থিত হয় বাঁশবেড়িয়ার গন্ধেশ্বরী ঘাটে সোনার ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী সুমন ব্যানার্জী (ভোলা)-র বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ির উঠোনে থাকা একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রে ভাঙচুর চালায় ক্ষিপ্ত জনতারা। সুমনের স্ত্রী মিঠু ব্যানার্জীর অভিযোগ প্রায় শ’খানেক লোক এসে বললো আমার স্বামী নাকি আদিত্য নিয়োগীকে গুলি চালিয়েছে।
এই বলেই তাঁরা ভাঙচুর শুরু করে দিলো। মিঠুর বক্তব্য তাঁর স্বামী বিগত সপ্তাহ খানেক ধরে কাজের জন্য কোলকাতায় রয়েছে। ও এসব কিছুই জানে না। আদিত্য নিয়োগীর কু-নজর ছিলো আমার উপর। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আমাদের উপরে তাই ওদের রাগ। এদিকে ভাঙচুরের পর সোনা শীল গোষ্ঠীরা জমায়েত হয় তাঁর বাড়িতে। সেখান থেকে একদল মহিলা এসে উপস্থিত হয় বেলতলা মোড়ে। বেলতলা মোড় অবরোধ করতে গেলে পুলিশ লাঠি উচিয়ে তাঁদের হঠিয়ে দেয়। এদিন ঘটনাস্থলে চন্দননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার ও চুঁচুড়া থানার আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। বেলতলা মোড়ে তৃণমূল কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। এই কার্যালয়ে বসতেন সোনা শীল। সোনার প্রয়াত বাবার নামেই এই পার্টি অফিসের নামকরন করা হয়েছে। কার্যালয়ের বাইরে একাধিক সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পার্টি অফিসের ভিতরে থাকা কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক খুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বাঁশবেড়িয়ার পৌরপ্রশাসক সহ তাঁর স্বামীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।