এই মুহূর্তে জেলা

জনপ্রতিনিধি হয়েও মানুষকে সুরক্ষা দিতে না পারলে ইস্তফা দেওয়াই বাঞ্ছনীয়ঃ অর্জুন।


ব্যারাকপুরঃ, ৪ মে:- নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুরে রাজনৈতিক হিংসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। কারোর বাড়িতে ভাংচুর চালানো হচ্ছে। আবার কারও বাড়িতে বোমা মারা হচ্ছে। সোমবার রাতে ভাটপাড়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপিতা সোহন প্রসাদ চৌধুরীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একজনের বাড়িতে লুঠপাট চালানো হয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলার দিকে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংসদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এলাকার মানুষকে সুরক্ষাই না দিতে পারি তাহলে,সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

হিংসা বন্ধে তিনি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ নেবার দাবি করেন। পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন,গনতন্ত্র রক্ষার্থে জনগনের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। এ রাজ্যে আমাদের দলে ১৮ জন সাংসদ ও ৭৭ জন বিধায়ক আছেন। কিন্তু বিপদের সময় আমারা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই না পারি,তাহলে জনপ্রতিনিধি হয়ে কি লাভ ? তাছাড়া এদিন হিংসা বন্ধে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে কিংবা রাজভবনের সামনে আমরন অনশনে বসার হুমকিও দিলে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তার আরও অভিযোগ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতী ধরুয়া,মুন্না সাউ,বাবুয়া দলবল নিয়ে এলাকায় তান্ডব চালিয়েছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা গোপাল রাউত। তার দাবি,বিজেপির নিজেদের ভেতরকার গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এর তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।