সুদীপ দাস , ১ মে:- গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি। খোয়া গেলো প্রায় ১০লক্ষ টাকার সোনার গহনা। শুক্রবার গভীর রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত গড়বাটি এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক অরুন কুমার মুখার্জীর তিনতলা বাড়ি। রাতে বাড়ির দোতলায় অরুন বাবু তাঁর ছেলে পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অয়নকে নিয়ে ঘুমায়। নীচতলায় অয়নের অসুস্থ মা চায়না আয়া মাসি ঝুমা মালকে নিয়ে শোয়। শনিবার ভোর রাতে ঝুমা কাঁদতে কাঁদতে উপরে উঠে ডাকাডাকি করলে অয়ন ঘুম থেকে উঠে পরে জানতে পারে ডাকাতির কথা। অয়ন নীচে এসে দেখে আলমারি ভাঙা। আলমারির লকার ভেঙে নগদ ৫হাজার টাকা সহ ২০ভরি সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে ডাকাত দল।
ঝুমা জানায় দুজন ব্যাক্তি রাত আড়াইটা নাগাদ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাঁকে বাথরুমের ভিতর আটকে রেখেছিলো। একজন শাবল হাতে পাহাড়া দিচ্ছিলো। তাই ঝুমা চিৎকার করতে পারেনি। অয়নের মা চায়না দেবী বলেন আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে বুকের উপরে একজন বসে আছে। আর একজন আলমারি ভাঙছে। আমি তাঁদেরকে অনুরোধ করি উপরে ছেলের কাছে আলমারির চাবি আছে আমার বিয়ের আলমারিটা যেন না ভাঙে। কিন্তু ওরা আমার কথা শোনেনি। আলমারি থেকে আমার বিয়ের সমস্ত গয়না নিয়ে তাঁরা চলে গেছে। বাড়ির বাইরে একজোড়া জুতো ফেলে গেছে ডাকাত দল। অয়ন বিষয়টি জানার পরই চুঁচুড়া থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অয়নের সন্দেহের তীর বছর খানেক আগে অসুস্থ মায়ের সেবায় আসা আয়া মাসি ঝুমা মালের দিকে।







