এই মুহূর্তে জেলা

শালিমার গুলি-কান্ডে অভিযুক্তরা অধরা , চলছে তল্লাশি।

হাওড়া , ২২ এপ্রিল:- হাওড়ার শালিমার এলাকায় গুলিকাণ্ডের ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনও দোষীরা অধরা। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ জোর তল্লাশি চালাচ্ছে। গুলি-কাণ্ডের ঘটনায় আক্রান্ত ভোলা রায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এ ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবিতে বুধবার বিকেলে থানা ঘেরাও করেন তাঁরা। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ৩৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মহাদেব সাহা জানান, গত তিন মাসে শালিমার অঞ্চলে এরকম গুলি-কান্ডের ঘটনা ২ বার ঘটে গেল। এটা শান্তিপূর্ণ অঞ্চল। এঝানে এক শ্রেণীর লোক যা করছে আগামী দিনে নির্ভয় মানুষ থাকতে পারবে না। ধর্মেন্দ্র সিং তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। খারাপ সময় এলাকার সব মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। তাকে মারা হল দুষ্কৃতী আখ্যা দিয়ে। এমনকি তিন মাসের মধ্যে ভোলা রায়কে মারার চেষ্টা করল। তাঁর দাবি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। বিজেপি সমর্থিত দুষ্কৃতী শালিমার অঞ্চলে ছেয়ে গেছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী টুম্পা দাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

প্রথমে ধর্মেন্দ্র সিংকে খুন করা হলো। ধর্মেন্দ্র সিং খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ভোলাকে খুন করার চেষ্টা করা হল। উল্লেখ্য বুধবার রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শালিমার ৫ নম্বর গেটের লালকুঠির সামনে। ভোলা রায় নামের স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালানো হয়। দুটি গুলি লাগে ভোলাবাবুর শরীরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায় এলাকায়। অবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রমোটিং এবং জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গত বছর ২৯ ডিসেম্বর হাওড়া শালিমারে দিনে দুপুরে শ্যুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু হয় তৃণমূলের যুব নেতা ধর্মেন্দ্র সিং এর। আহত হন তারই মোটর বাইকের পিছনে বসে থাকা সঙ্গী এই ভোলা রায়। ধর্মেন্দ্র খুনের মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ভোলা।