কলকাতা , ১৭ এপ্রিল:- হাজার সতর্কতা স্বত্তেও রাজ্যের ভোট বাজারে কালো টাকার রমরমা অব্যাহত। বেআইনী মদ ও ড্রাগসের আনাগোণাতেও কমতি নেই। নির্বাচন কমিশনের তথ্যই বলছে, প্রথম চার দফার ভোটেই রাজ্যে নগদ, মদ, ড্রাগস মিলিয়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি ৭১ লক্ষ। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ২০ কোটি টাকার সামান্য বেশি। কমিশনের আধিকারিকদের আশঙ্কা রাজ্যে যেভাবে অবৈধ টাকা বাজেয়াপ্ত হচ্ছে তাতে অষ্টম দফার শেষে বাজেয়াপ্ত কালো টাকার পরিমাণ একশো কোটি টাকার অঙ্ক ছোঁবে। শুধু বাজেয়াপ্ত অবৈধ কালো টাকার পরিমাণই নয়, মদ-ড্রাগস ও দুর্মূল্য সামগ্রীর পরিমাণ দেখে কমিশনের আধিকারিকদের চোখ ছানাবড়া। কমিশন সূত্রে খবর এই ভোটে রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে সবথেকে বেশি পরিমাণ কালো টাকার বন্যা বইছে। তার পাশাপাশি মদ-ড্রাগসেরও যেভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা রীতিমতো আতঙ্কের। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে থেকে নগদ, মদ, ড্রাগস, ও দুর্মূল্য সামগ্রী মিলিয়ে ৩০০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তার মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ কোটি টাকার বেশি। বাকিটা মদ, মাদক ও দুর্মূল্য সামগ্রীর মূল্য। দ্বিতীয় দফার ভোটের পরবর্তীতে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির সীমান্ত এলাকা হয়ে উঠছে বিপুল টাকা লেনদেনের মৃগয়া ক্ষেত্র। তবে ওই আধিকারিকের কথায়, যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার অন্তত ২০ গুন টাকা ভোটে কাটছে এবং নজরদারির বাইরে রয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে খাস কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে ঘাঁটি গেড়ে বিপুল টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। সবটাই হচ্ছে নগদ এবং নেট ব্যাঙ্কিং’র মাধ্যমে। কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ভুটান সীমান্ত, বিপুল পরিমাণ টাকা ঢুকছে নির্দিষ্ট রুটে। ভিন রাজ্য থেকে এমনকি সড়কপথেও অনায়াসে ঢুকছে কালো টাকা। অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রভুদের রোষাণলে পড়ার ভয়ে টাকা-মদ বাজেয়াপ্ত করলেও পাচারের সঙ্গে জড়িতদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আয়কর ও আবগারি দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।