এই মুহূর্তে কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে শোকজ করল কমিশন।

কলকাতা , ৭ এপ্রিল:-মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে শোকজ করল কমিশন। গত তেসরা এপ্রিল হুগলির তারকেশ্বর একটি রাজনৈতিক জনসভায় আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙে বিশেষ সম্প্রদায়কে তাদের ভোট ভাগ না করে তৃণমূলকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।এই নিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বিজেপি। বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে সেই নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশন আগামী দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‌আমি আমার সমস্ত সংখ্যালঘু ভাই–বোনেদের অনুরোধ করছি ভোট ভাগাভাগি হতে দেবেন না।’‌ ধনেখালির যেখানে মমতা সভা করেন, সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরেই এদিন ছিল নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি। সভা থেকেই মমতা অভিযোগ তোলেন, ‘বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছেন।

ধনেখালির পাশাপাশি কুলপি এবং রায়দিঘির জনসভায় বিজেপির ‘বহিরাগত গুন্ডা’দের নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, নন্দীগ্রামে কী করেছে বিজেপি? গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলেছে, তোমার মেয়েকে লুঠ করে নিয়ে যাব। তোমার বাচ্চাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাব। এরা বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছে। সব বাইরের গুন্ডা। দিল্লির পুলিশ এসে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে গ্রামে ঢুকছে। পুলিশের পোশাক পরিয়ে, লোক ঢুকিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এরা ভোটের পর পগারপার হয়ে যাবে। এই বাংলায় আমরাই থাকব। এই বহিরাগত গুন্ডারা থাকবে না।’দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু’টি সভাতেই মমতা নাম না করে আইএসএফ নেতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। রায়দিঘিতে সংখ্যালঘুদের প্রতি তাঁর আর্জি, ‘‌হায়দরাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে, ফুরফুরা শরিফের একটা চ্যাংড়াকে নিয়ে। কয়েক কোটি টাকা খরচা করে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগির চেষ্টা করছে। কিন্তু যদি আপনারা এনআরসি, এনপিআর, সিএএ না চান, ওদের একটাও ভোট দেবেন না। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে, বিজেপিতে দেওয়া।’