এই মুহূর্তে জেলা

যে নিজে দাঁড়াতে পারে না , সে বাংলাকে দাঁড় করাবে কি করে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের।

বাঁকুড়া , ২৪ মার্চ:- বুধবার বড়জোড়া শিল্পাঞ্চলের বড়জোড়া ফুটবল মাঠে এসে চাঁছাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে অলআউট আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলায় পরিবর্তন চাই। দিল্লি টাকা পাঠাচ্ছে আর সেই টাকা ঝেড়ে ফুটানি মেরে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতারা। তাই বলছি, আমরা আর হুইল চেয়ারের সরকার চাইনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাঙা পা নিয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, যে নিজে দাঁড়াতে পারে না সে বাংলাকে দাঁড় করাবে কি করে? তাই বাংলায় বিজেপি চাই। আমরা চাই জঙ্গলমহল আর পশ্চিমবাংলার পরিবর্তন হোক। লাল ধুলার রাস্তা পাকা হোক। সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ডাক্তার দেওয়া হোক। শিক্ষার জন্য স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। থানায় পুলিশের সহযোগিতা পেতে স্বাধীনভাবে পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হোক। বিজেপি সব দেবে। বীরভূমের কেষ্টদার মতো পুলিশকে বোম মারতে বলবেনা বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী ৭ বছর দেশের শাসন ক্ষমতায় আছেন। বাড়ি বাড়ি শৌচালয় দিয়েছেন। পাকা বাড়ি দিয়েছেন, গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারত যোজনায স্বাস্থ্য পরিসেবা দিয়েছেন, রেশন দিচ্ছেন, কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। আর দিদিমণি বাংলাকে হতাশ করেছেন। মোদি সরকার গরিবদের জন্য নিবেদিত সরকার। কৃষকদের উন্নতির সরকার। ফসলের ন্যায্য দাম দিতে কেন্দ্র ধানের দাম ৭২০ টাকা করেছে। কিন্তু এ রাজ্যের মানুষ ১২০০ টাকায় তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

কারণ দিদির ভাইয়েরা ফড়েদের নিয়ে গিয়ে ৫০০ টাকা করে কাটমানি মারছে। একেবারে গোদা বাংলায় দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা দিদি বলছেন বাংলা এবার নিজের মেয়েকেই চায়। তার প্রশ্ন– তবে কি এতদিন আপনি ছেলে ছিলেন? বলছেন আমি পশ্চিমবাংলার মেয়ে। তাহলে এতদিন কি পুরুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন দীলিপবাবু। তিনি বলেন, আপনি বাংলার জন্য কিছু দিতে না পারলেও পা দেখাচ্ছেন কেন? জনসভায় উপস্থিত বিজেপি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেদিনীপুরে আছেন, অমিত সাহা পুরুলিয়া আছেন, জেপি নাড্ডাও বাংলায় রয়েছেন। কিসের জন্য? বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য তারা এখানে পড়ে রয়েছেন। তৃণমূলের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন হয়েছে কাদের জানেন! যারা একসময় একটা বিড়ি আধটা খেয়ে কানে গুঁজে রাখতেন, এখন তারা লম্বা লম্বা সিগারেট টানছেন। যার ফুটো সাইকেল ছিল তার বাইক হয়েছে। যার ফুটো বাইকে তেল জুটত না তার চার চাকার গাড়ি হয়েছে। নীলসাদা তিনতলা বাড়ি হয়েছে দিদির শাড়ির রং মিলিয়ে। এ সবই হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। আমাদের পঞ্চায়েত ভোট করতে দেয়নি এই উন্নয়নের জন্য। আমরা ক্ষমতায় এলে ফুটো তৃণমূল নেতাদের বাঁকুড়ার জেলে। গোটা নেতাদের আলিপুর জেলে, আর বড় নেতাদের কটকের জেলে পাঠাবো। কেউ আটকাতে পারবে না। এদিন এসভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের বড়জোড়া আসনের প্রার্থী সুপ্রীতি চ্যাটার্জী, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত অগস্থি।