কলকাতা , ২২ মার্চ:- ভোটার দের ভয় দেখানো আটকাতে এবার ভোটের সময় বাইক মিছিলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করল নির্বাচন কমিশন।সোমবার কমিশনের জারি করা নির্দেশিকায় ভোট মুখি সমস্ত রাজ্যে ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত সব রকমের বাইক মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আসাম,কেরালা, তামিনাড়ু, পুদুচেরিতেও এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে।পাঁচ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে সোমবার লেখা এক চিঠিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাদের নজরে এসেছে কিছু জায়গায় ভোটদান অথবা ভোট গ্রহণের আগে ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য এলাকার দুষ্কৃকতীদের নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বাইক মিছিল করে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার থেকে ভোট গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে আর কোনও রকম বাইক মিছিলেন অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ দুদিন আগে শেষ করতে হবে প্রচার। আর ভোট গ্রহণের তিন দিন আগেই বাইক নিয়ে মিছিল বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিদলগুলিকে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেলর, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট গ্রহণ হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই বাংলায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে। সেই সময়ই জানা হয়েছিল কোভিড আহবে যেহেতু ভোট গ্রহণ হবে সেই কারণে করোনাবিধি মেনেই ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ভোট কর্মী, এজেন্ট ও ভোটদাতাদের মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ভোট কেন্দ্রেও নিরাপদ শারীরিত দূরত্ববিধি বজায় রাখা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশন সুনীল আরোরা জানিয়েছিলেন, সামাজিত দূরত্বের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১.১ লক্ষ বাড়ান হয়েছে। আট দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেসহ বাকি সব রাজ্যগুলির ভোট কর্মীদের জন্যও করোনা-টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অসমে ১২৬, তামিলনাড়ুতে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ কেরলে ১৪০ আর পুদুচেরিতে ৩০টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফল প্রকাশ হবে আগামী ২ মে।
প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যে শুরু হবে ২৭ মার্চ। সুতরাং হাতে আর মাত্র পাঁচদিন। গোটা রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার, রোড–শোর পাশাপাশি চলছে বাইক মিছিল।তাই কমিশন এরকম একটা সময় বাইক মিচিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চাপে পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পুর প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র। আইনশৃঙ্খলা কতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আজ কলকাতায় এসেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁরা স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিয়েছে। এবার বাড়তি সংযোজন হল মোটরবাইক।