হুগলী ,১৯ মার্চ:-মনোরঞ্জন কথার অর্থ চিত্তের সন্তোষ। বিশেষণ করলে দাঁড়ায় মনের আনন্দদায়ক। হুগলীর বলাগরের তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর জীবনটা কিন্তু সেভাবে কোনদিনই চিত্তাকর্ষক ছিলো না। যাদবপুর স্টেশনে শুয়ে দিনের পর দিন রাত কাটিয়েছেন। একাধিকবার জেলেও গেছেন। জেলে বসেই তাঁর বাংলা অক্ষর জ্ঞান। পুঁথিগত বিদ্যা তাঁর নেই। সেখান থেকেই একের পর এক বই লিখেছেন। ঝুলিতে রয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরষ্কার সহ নানাবিধ সন্মান। মনোরঞ্জনের কথায় রিক্সা চালাতাম, মদ খেতাম, মারপিট করতাম কিন্তু বই পরতাম। জেলখানা থেকে বর্নপরিচয় পাওয়া মনোরঞ্জন বই পড়তে পড়তেই বই লেখা শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই তিনি দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদে আসীন হন। আর ২১-এর নির্বাচনে সরাসরি দিদির সৈনিক হয়ে ভোট ময়দানে তিনি।
বর্তমানে নদীয়া জেলার চাকদহের বাসিন্দা হলেও গঙ্গার ওপারে অবস্থিত হুগলী জেলার বলাগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছেন তিনি। যেই বলাগরে দলের চরম গোষ্ঠীকোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি টিকিট পাওয়ার পরই বলাগড়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য তথা হুগলী জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুমনা সরকার মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু সেসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ মনোরঞ্জনবাবু। শুক্রবার বলাগরের বিদায়ী বিধায়ক অসীম মাঝি তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ রায় ব্যানার্জী সাথে চুঁচুড়ায় এসে মনোনয়ন জমা দিলেন মনোরঞ্জন। এদিন চুঁচুড়ার পিপুলপাতি থেকে পায়ে টানা রিক্সা চালিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান একদা রিক্সাচালক মনোরঞ্জন। রিক্সার প্যাডেল ঘুরাতে-ঘুরাতেই এমন কেউ নেই যে আমাকে হারাতে পারে বলে ভোট ময়দানে হুঙ্কার জীবন সংগ্রামে না হারা মনোরঞ্জনের।