হাওড়া , ২৬ ফেব্রুয়ারি:- উত্তর হাওড়ায় ঐতিহ্যবাহী শীতলা মায়ের স্নানযাত্রা এবার সরাসরি দেখানো হচ্ছে সিটি পুলিশের ফেসবুক লাইভে। করোনা পরিস্থিতিতে ভীড় এড়াতে ঘরে বসেই লাইভ দেখার ব্যবস্থা করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। করোনা বিধি মেনেই এবার উত্তর হাওড়ার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব শীতলা মায়ের স্নানযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে সিটি পুলিশ।এ বছর করোনা বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, হাত স্যানেটাইজ করে যাতে স্নানযাত্রা হয় হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে উদ্যোক্তাদের সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘরে বসে যাতে এই স্নানযাত্রা দেখা যায় তার জন্য হাওড়া সিটি পুলিশ ফেসবুক লাইভের ব্যবস্থা করেছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে সেই সরাসরি সম্প্রচার। এ বছর ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দু’দিন ধরে এই শীতলা মায়ের স্নানযাত্রা রয়েছে। দুপুরবেলা থেকে শুরু হবে স্নান। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার যে অঞ্চল দিয়ে শীতলা মায়ের স্নানযাত্রা হবে সেই এলাকায় ১০০টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এছাড়াও এবারও উত্তর হাওড়ার অরবিন্দ রোড, বাবুডাঙা মোড়, শ্রীরাম ঢ্যাং রোড হয়ে ফুলতলা ঘাট ও বাঁধাঘাটে স্নানযাত্রা হবে। সিসিটিভি ছাড়াও গোটা ৬ কিলোমিটার রাস্তায় মাইক লাগানো হয়েছে। রাস্তাঘাটে নজরদারি রাখা হয়েছে।
পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এই নজরদারি চলছে। যে এলাকা দিয়ে ওই স্নানযাত্রা হবে সেখানে মানুষের সহায়তায় বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্নানযাত্রার সময় চুরি বা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ যাতে না ঘটে সেজন্য প্রচুর সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ৫টি ড্রোন থাকছে। এদিন সকাল থেকেই শীতলা মায়ের মন্দিরে ভীড় জমান অগণিত মানুষ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উত্তর হাওড়ার বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। উল্লেখ্য, মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকায় ১৯টি, গোলাবাড়িতে ২৩টি ও লিলুয়া থানা এলাকায় ২৮টি শীতলা মায়ের মূর্তি রয়েছে। এছাড়া বালি, বেলুড়, হুগলি জেলা থেকেও শীতলা মায়ের মূর্তি এনে ফুলতলা ঘাট ও বাঁধাঘাটে স্নান করানো হয় বলে জানা গেছে। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, স্নানযাত্রার জন্য হাওড়া সিটি পুলিশ ও মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশের তরফে সবরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দমকল, বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। স্নানযাত্রার সময় যাতে ডি জে বাজানো না হয় সেজন্য স্পষ্ট নির্দেশিকা এবারেও দেওয়া হয়েছে। স্নানের সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি থাকছে।