এই মুহূর্তে জেলা

হাওড়া জেলা হাসপাতালেই হবে এইডসের চিকিৎসা।

হাওড়া , ১৭ ফেব্রুয়ারি:- হাওড়া জেলা হাসপাতালে বুধবার থেকে চালু হল এইডসের চিকিৎসা কেন্দ্র। এই চিকিৎসা কেন্দ্র হাওড়া জেলায় এই প্রথম চালু হল। এছাড়াও এদিন উদ্বোধন হয় ব্লাড সেন্টারের। হাওড়া জেলা হাসপাতালের এ.আর.টি সেন্টার এবং ব্লাড সেন্টারের নতুন ভবনের এদিন দ্বারোদঘাটন হয়। এই দুটি সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। জানা গেছে, এইডসের ক্ষেত্রে এতদিন রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসার জন্য যেতে হত কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল বা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন কেন্দ্রে। এখন থেকে এর চিকিৎসা হবে হাওড়া জেলা হাসপাতালের এ.আর.টি সেন্টারে।

সঙ্গে বিনামূল্যে ওষুধ মিলবে এখান থেকে। এদিন এর উদ্বোধন করে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, এতদিন এসএসকেএম বা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এইডস রোগীদের চিকিৎসা হতো। এখন হাওড়া জেলা হাসপাতালেই এই রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলো। এই ব্যবস্থা হওয়ায় শুধু হাওড়া নয়, আশেপাশের সকল মানুষ উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালের মেইন বিল্ডিং এর টপ ফ্লোরে কুড়িটি বেড রাখা হবে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যসাথী রোগীদের জন্য। সেখানে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে। এর আগে হাওড়ায় জেলা হাসপাতালে সব ইউনিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র এইডস রোগীদের জন্য ইউনিট বাকি ছিল। সেটিও তৈরি হলো। এখন হাওড়া হাসপাতালের এমন কোনো চিকিৎসা নেই যা হয় না। সুতরাং এর ফলে হাওড়ার মানুষরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতে জেলা হাসপাতালেই উন্নত চিকিৎসার কারণে হাওড়ার মানুষ আর কলকাতার কোনও হাসপাতালে যেতে চাইবেন না।

হাওড়া হাসপাতলেই ভর্তি হতে চাইবেন তাঁরা। হাওড়া হাসপাতালের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে হবে না। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বাংলাকে বঞ্চিত করছে। তা সত্বেও বাংলার সরকার রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য কোনো কার্পণ্য করছেনা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিন্দুকেরা নিন্দা করে। সুতরাং নিন্দুক কি বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। স্বাস্থ্যসাথী সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে একটা দৃষ্টান্ত বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস, হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।