কলকাতা , ১৭ ফেব্রুয়ারি:- বিজেপি দলে সম্প্রতি প্রায় সর্বস্তরে অভ্যন্তরীণ বিবাদের ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনা যে নব্য ও পূর্বতন বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিবাদের ফল সেটা দলের নেতৃত্ব আংশিক হলেও মেনে নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “দল বড় হচ্ছে। সবাইকে শৃঙ্খলায় আনা সময় সাপেক্ষ। তাই এরকম ঘটনা হতেই পারে। এটা ছোট ছোট ঘটনা।” তবে এবার থেকে নতুনদের বিজেপিতে নেওয়ার আগে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েই তাঁদের দলে নেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি-র মতো শৃংখলাপরায়ণ দলে অভ্যন্তরীণ বিবাদ সত্যিই বেমানান।
এটা নিয়ে দলের মধ্যে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে। দলের কেউ কেউ বলছেন, “যে দল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার দিকে ক্রমশই এগোচ্ছে সেই দলের মধ্যে এই রকম অভ্যন্তরীণ বিবাদ চলতে থাকলে জনমানসে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।” তবে দলের এক শ্রেণীর কর্মীর এভাবে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা অমান্য করার প্রবণতার জন্য বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব যথেষ্ট চিন্তায়। এই প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমাদের দল শৃঙ্খলা পরায়ণ। এখন দল বড় হচ্ছে। তাই রাতারাতি সবাইকে শৃঙ্খলা শিখিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলেই বিক্ষিপ্তভাবে কোনও কোনও জায়গায় কিছু অভ্যন্তরীণ বিবাদের ঘটনা ঘটছে। দল এসব কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করছে।” তবে বিজেপি-র এই ঘরোয়া কলহের ইস্যুকে তুলে ধরে বিরোধীরা রীতিমতো বিজেপি-র বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে।
তবে এর উত্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “বিজেপি একটি শৃংখলাপরায়ণ দল। রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসা বিজেপি-র কাছে এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তাই ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার জন্য কেউ কেউ এসব করছে। তবে সেই সংখ্যাটা নগন্য। হিসেবে আসে না।” তবে জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যারা তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের নিয়েই এই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন যতই আগিয়ে আসছে ততই অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিরসনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব কঠোর হচ্যাঁচে বলে জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করছেন বারবার। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনওভাবেই বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে না দলের ভাবমূর্তি জনমানসে নষ্ট করছে।