সুদীপ দাস , ১১ ফেব্রুয়ারি:- ফিল্মি কায়দায় পাওনা টাকার দেওয়ার টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে অপহরন ব্যাবসায়ীকে। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করলো ব্যাবসায়ী সহ দুজনকে। ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই। আজ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানা এলালায়। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল নপডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মিঠুন কুন্ডু(৪১)। তিনি পেশায় ধুপকাঠির প্যাকেটিং এর ব্যাবসায়ী। মিঠুন ব্যাবসায়ীক কারনে ২০১৭সাল থেকে নবদ্বীপের বাসিন্দা জনৈক মুকুন্দর কাছ থেকে ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পেত। বহুবার বলেও সেই টাকা পায়নি মিঠুন। সম্প্রতি মুকুন্দ সেই টাকা দেওয়ার জন্যই মিঠুনকে টোপ দেয়। বলা হয় নবদ্বীপে ইস্কনের মন্দিরে গেলে তাঁর টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। সেইমত বুধবার সকালে মিঠুন নলডাঙ্গা থেকে চারচাকা গাড়ি নিয়ে দুই কর্মচারীকে সঙ্গে করে বের হয়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন মিঠুন নিজেই। পথে ধুবুলিয়ায় ফোন করে গাড়ি দাঁড় করায় মুকুন্দ।
মুকুন্দ সেই গাড়িতে উঠে একইসাথে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু গাড়ির মধ্যেই শুরু হয় মুকুন্দর খেল। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে মিঠুনের মাথায় ধরে মুকুন্দ। মুকুন্দর কথা মত ধুবুলিয়ায় পরিত্যক্ত একটি টিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মুকুন্দর জনা দশেক সাগরেদ উপস্থিত ছিলো। এরপরই প্রথমে ৩০লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করা হয় মুকুন্দকে। অপহৃতদের ব্যাপক মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দরাদরিতে মুক্তিপণ ১৫ লাখ টাকায় নামে। অপহরনকারীদের দাবীমত মিঠুনের শ্যালক ঘটনাস্থলে পৌঁছতে যায়। সঙ্গে ছিলো চুঁচুড়া থানার পুলিশও। ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়ে পুলিশ মিঠুন সহ তাঁর দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করে। ঘটনায় মুকুন্দ সহ আরও একজন গ্রেপ্তার হলেও পালিয়ে যায় বাকীরা। আজ সকলকে চুঁচুড়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।