এই মুহূর্তে জেলা

রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যুগান্তকারী উন্নতি হয়েছে মমতার সরকারের আমলেই। দাবি অরূপ রায়ের।

হাওড়া , ৮ ফেব্রুয়ারি:- রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই যুগান্তকারী উন্নতি হয়েছে মমতার সরকারের আমলেই। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যা যা পদক্ষেপ নিয়েছেন তা অন্য রাজ্যেও হয়নি। সোমবার সকালে হাওড়ার ব্যাতাইতলা এলাকার সানাপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসে এমনই দাবি করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, এরাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ১০কোটি মানুষকে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাওড়ার গোপাল লাল চৌধুরী লেন সানাপাড়ায় পুরসভার একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ( আর্বান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার বা ইউপিএইচসি ) শুভ সূচনা করেন মন্ত্রী অরূপ রায়।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মানুষের যখন প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তখন মানুষ বাড়ির কাছাকাছি কোনও চিকিৎসা কেন্দ্র খোঁজেন। এখান থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল বা সাউথ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল যেতে সময় লাগে। তাই স্থানীয় মানুষ এখানে এলে দ্রুত সেই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। এখনকার হেলথ সেন্টারগুলো এক একটা মিনি হাসপাতাল বলা যেতে পারে। এখানে সব আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। স্থানীয় মানুষ উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা দেখেছেন। আগে বাংলার মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি সহ অন্যান্য রাজ্যে যেতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন বাংলার মানুষ বাংলাতেই চিকিৎসা পাবেন। তাঁদের অন্য রাজ্যে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। এই কারণে তিনি বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। স্বাস্থ্যখাতে বাজেট দশগুণ বাড়িয়েছেন তিনি।

নতুন নতুন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রাজ্যে তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে।” হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন দেরিতে হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ এসেছে ঠিক সময় স্বাস্থ্যকর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। হাওড়া পুরসভাতেও কিছু সমস্যা আছে। সেখানে দীর্ঘদিন বোর্ড নেই। তাই আমি হাওড়ার পুর কমিশনারকে অনুরোধ করেছি যাতে মাসের প্রথমদিকে এরা বেতন পায় সেই বিষয়টি দেখার জন্য। এদিন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রাক্তন পরিষদের সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য বলেন, “নতুন চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আজকে উদ্বোধন হল। সানাপাড়ার পাশাপাশি বাঁধাঘাট, নস্করপাড়া এবং খামারপাড়া লেনে আরও তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র অর্থাৎ আজ মোট চারটি প্রাইমারি হেলথ সেন্টার উদ্বোধন করা হলো। আগামী বুধবার নতুন আরও তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হবে। আগে ১২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। সেখানে পোলিওর টীকা ও প্রসূতি মায়েদের ভ্যাক্সিনেশন ছাড়া কোনও পরিষেবা পাওয়া যেত না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হয়েছে, তেমনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো থেকে আরও অনেক পরিষেবার সুযোগ মানুষ পাচ্ছেন।”