এই মুহূর্তে জেলা

আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকিকে জোকার বললেন ত্বহা সিদ্দিকি।

হুগলি , ২ ফেব্রুয়ারি:- ফুরফুরায় মুজাদ্দেদিয়া অনাথ ফাউন্ডেশানের শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ফুরফুরা শরিফের পীড় ত্বহা সিদ্দিকি বলেন,ফুরফুরা শরিফে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ছিলো আমার পকেটে।গরীব অসহায় মানুষদের জন্য সেবা করে চলেছি। গরীবদের জন্য একটা এ্যাম্বুলেন্স কিনতে গিয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে এসেছিলাম। বাড়ি ফিরে স্ত্রীর হাতের দুটি বালা চেয়ে নিলাম। কোনো প্রশ্ন না করে বালা খুলে দিয়েছিলো। তার পর আমি ৮৯ টা এ্যাম্বুলেন্স কিনে গরীবের সেবায় লাগিয়েছি। ত্বহা সিদ্দিকি বলেন ,আমার বাবার এত টাকা নেই কিন্তু যখন কাউকে বললে সে না করে না। একটা রাজনৈতিক দল হিন্দু মুসলিমে দ্বন্দ্ব লাগাতে চাইছে। সভায় উপস্থিত মায়েদের বলছি একটা দল সারা দেশটাকে জ্বালিয়ে এখন বাংলায় অশান্তি লাগাতে চাইছে। বাংলায় সেই সংস্কৃতি নয়।আমার বন্ধু কমল বিলম জালাল মুর্শেদ সবাই একসঙ্গে পড়াশুনো করেছি।

খেলাধুলো করেছি। একটা দল রাতের অন্ধকারে গোপনে মিটিং করছে। তাতে কিছু হবে না। এটা স্বামী বিবেকানন্দ নজরুল রবীন্দ্রনাথের মাটি। এখানে হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব লাগাতে এলে লাভ হবে না। যারা হিন্দু মুসলমানে লড়াই লাগায় তারা শকুনের জাত। সাম্প্রদায়ীক দল সারা ভারতবর্ষে দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে শান্ত হয়নি। ওরা দেখেছে বাংলায় হিন্দু মুসলিমে সহবস্থান আছে তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। যদি মরতে হয় হিন্দু মুসলমান একসাথে মরব। বাঁচতে হয় একসাথে বাঁচব। ভাইপো আব্বাস সিদ্দিকিকে উদ্যেশ্য করে বলেন পার্টির প বোঝেনা। একটা জোকারের মত লোক হাসাচ্ছে। আমার পরিবারের কোনো ছেলে যদি রাজনীতি করে তাহলে কোনো আপত্তি নেই। দাদা হুজুরের নামে কলঙ্কের দাগ কেটেছে। সবাই দাদা হুজুরকে ভালোবসে। মাঠে খেলতে নেমেছে পায়ে লাগতেও পাড়ে। পাঁচ মিনিট ভুল করলে পাঁচ বছর কাঁদতে হবে।