এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার রাজ্যের সব পুর কর্মীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কলকাতা , ২৭ জানুয়ারি:- করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার রাজ্যের সব পুর কর্মীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ নবান্নে দুয়ারে দরকার এবং পাড়ায় পাড়ায় সমাধান কর্মসূচির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করতে রাজ্যের সব জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন পুর কর্মীদের টিকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকডাউন এর সময় তিন লাখ ৮১ হাজার ৬০৪ জন শ্রমিককে নতুন জব কার্ড দেওয়া ছাড়াও ৬৪ লাখ শ্রমিককে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন চোখের আলো প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় পাড়ায় সমাধান নামে দুটি বই ও প্রকাশ করেন তিনি। নবান্নে সাম্প্রতিক সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রাপকদের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। যার মধ্যে ছিল ‘দুয়ারে সরকার’,‘চোখের আলো’,‘পাড়ায় সমাধান’ এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী’। সরকারের ঘোষিত এই চার নতুন প্রকল্পের সুবিধা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন কোটিরও বেশি রাজ্যবাসী।

এদিন সেই সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ করা হয় বিশ্বব্যাংক এবং ইউনিসেফের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে। বিশ্বব্যাংকের তরফে জুনেইদ কামাল আহমেদ যোগ দেন নবান্নের বৈঠকে। তাঁর মতে, করোনা কালেও রাজ্য সরকারের একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে যেভাবে কাজ হয়েছে, তাতে উপকৃত হয়েছেন অন্তত ৯৫ শতাংশ সাধারণ মানুষ। একেবারে তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করার জন্যই এই সাফল্য বলে মনে করছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ইউনিসেফের এক প্রতিনিধিও। তিনি বলেন, রাজ্যের শিশুকন্যা এবং কিশোরীদের জন্য ‘কন্যাশ্রী’,‘রূপশ্রী’র মতো সরকারি সামাজিক প্রকল্পগুলির ব্যাপক সুফল পেয়েছেন বহু মানুষ, যা খুবই প্রশংসনীয়। তবে তাঁর পরামর্শ, ঠিকমতো সকলে এসব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, তা দেখার জন্য একটা নজরদারি দরকার। তাতে যেন ত্রুটি না ঘটে। তাহলে আরও উন্নত হবে সরকারি পরিষেবা। সকলের কাছে সহজে, স্বচ্ছভাবে তা পৌঁছনো সম্ভব হবে।