এই মুহূর্তে কলকাতা

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করলো তৃণমূল।

কলকাতা , ২২ জানুয়ারি:- তৃণমূল কংগ্রেস বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর আজ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।বহিস্কারের খবর জানার পর বৈশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বাইরে থেকে আসা লোকেদের কথা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী চলছেন। তৃণমূলে যাঁরা আছেন, অন্য দল থেকে আসা লোকেদের বেশি গুরুত্ব দেন। দলের মধ্যে উইপোকারা পুরনো কর্মীদের কাজ করতে দেয় না,স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানুষের দলে জায়গা নেই। নেতাদের সঙ্গে আস্তে আস্তে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ভোটাররাও তৃনমূল কংগ্রেসের থেকে দূরে সরে যাবে।তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বৈশালী ডালমিয়ার বহিষ্কার প্রসঙ্গে বলেন,‘ভোটের আগে যেভাবে তিনি কথা বলছিলেন সেটা দলের পক্ষে মেনে নেওয়া যায় না। দলের নেতা-কর্মীরা এগুলোকে সমর্থন করে না। ফলে সাংগঠনিকভাবে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গত বেশ কয়েক মাস ধরেই সরব হয়েছিলেন বালির তৃণমূল বিধায়ক। প্রথমে হাওড়া পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিধায়কের মনোমালিন্য দিয়ে বিরোধের সূত্রেপাত। পরে, বালিতে টিম পিকে-র বৈঠক ঘিরে সেই বিরোধ বাড়তে থাকে।

প্রকাশ্যেই দলে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বৈশালী। দলের সঙ্গে যখন বৈশালী ডালমিয়ার দূরত্ব বাড়ছে তখনই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে গিয়েও সাক্ষাৎ করতে দেখা যায় বালির বিধায়ককে। দলত্যাগীদের যখন ‘মীরজাফর-বেইমান’ বলে তোপ দাগছে তৃণমূল, তখন প্রকাশ্যেই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। ফলে অস্বস্তি বাড়ে জোড়া-ফুল শিবিরের। তারপর, গত মাসে লক্ষ্মীরতন শুল্কার মন্ত্রিত্ব ত্যাগ ও দল থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গেও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছিলেন বৈশালী। আজ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পরও দলের নেতাদেরকেই দায়ী করেন এই বিধায়ক। বৃহস্পতিবারই বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই সংবাদমাধ্যমে রাজীবের সমর্থনেই মুখ খোলেন বৈশালী। বলেন, ‘রাজীবদার পদত্যাগে দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এটা সাধারণ মানুষেরও ক্ষতি। এমন একজন দায়িত্ববান মন্ত্রীর ইস্তফা দলের জন্য সত্যিই দুশ্চিন্তা এবং অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। সত্যিই কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। প্রত্যেকেই দলকে ভালবাসেন। কিন্তু আত্মমর্যাদাও তো রয়েছে। যাঁদের আত্মসম্মান রয়েছে, তাঁরা দিনের পর দিন এই অপমান মেনে নিতে পারেন না।’