পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি:- লালমাটির দিলীপ ঘোষ আর ভালো মাটির শুভেন্দু অধিকারী এক সাথে হাত মিলিয়েছে খড়গপুর আমি জিতিয়েছিলাম আবার সেই খড়গপুরকে আমি হারিয়ে দেখিয়ে দেব শুভেন্দু অধিকারীর কৃতিত্ব। কেশপুরের সভা থেকে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর। কেশপুরের সভা থেকে এদিন পুরোন দলকে নিশানা করেন শুভেন্দু। একেরপর এক অভিযোগ শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন, তা কি পূর্ণ হয়েছে? তৃণমূলনেত্রী বলছেন, পচা জিনিস দল থেকে বেরিয়ে গেছে। পচা জিনিস বেরিয়ে গেলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন? তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী কথায় কথায় নন্দীগ্রাম, কেশপুরের কথা বলেন। ভোটের সময় আসেন, তারপর পগারপার। লকডাউনে তৃণমূলের কোনও সাংসদ-বিধায়ককে দেখা যায়নি। আমি ২১ বছর পর কেন তৃণমূল ছাড়লাম? কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কেশপুর থেকে ১০০ দিনের কাজের কয়েক কোটি কোটি টাকা তৃণমূল কংগ্রেস লুট করেছে বলে এদিন সভামঞ্চে থেকে সুর তোলেন।
সেই সঙ্গেই ফের তোলাবাজ ভাইপো প্রসঙ্গ উঠে আসে শুভেন্দুর বক্তব্যে। সেই সঙ্গে সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড কার্যত ভোটার কার্ডে পরিণত করেছে। কার্ড দেখালে ভোট দেওয়া যাবে এই বলেও আক্রমণ করেণ শাসক দলকে। তিনি বলেন, গরু চোর এনামুল, তার নাম তৃণমূল। লকডাউনে চাল চোর, আমফানে ত্রিপল চোর, এখন টিকা চোর। একই সঙ্গে তিনি দাবী করেন, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন। তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন যে, আমি যখন যে দলটা করি খুব সম্মানের সাথে করি এবং নিষ্ঠার সাথে করি তাই এখন সর্ববৃহৎ পার্টি পৃথিবীর ভারতীয় জনতা পার্টিতে অংশগ্রহণ করেছি মন দিয়ে রাজনীতি করছে এবং এই জঙ্গলমহল থেকে সমস্ত ভারতীয় জনতা পার্টিকে উপহার দেব এটাই মোদীজিকে কথা দিয়েছি। এদিন তিনি আরও জানান, যে কার্যকর্তারা যে সমস্ত যানবাহন নিয়ে সভাস্থলে এসেছেন সেই সমস্ত যানবাহনের যদি কোন রকম একটা কাঁচও ভাঙ্গে তাহলে তিনি এখানে থাকছেন এক ঘণ্টা, তারপর তৃণমূলের মোকাবিলা করে দিয়ে এখান থেকে বেরোবে না।