এই মুহূর্তে কলকাতা

ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশনকে দরাজ সার্টিফিকেট রাজ্যপালের।


কলকাতা , ১৯ জানুয়ারি:- নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। মঙ্গলবার শহরের এক বেসরকারি হোটেলে চ্যাটার্জী একাউন্টেন্টের একটি সম্মেলনে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, বিহারের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার পরে যেভাবে সারাদেশের সকলের কাছে নজর কেড়েছিল নির্বাচন কমিশন আমার বিশ্বাস 2021 সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তারা যে ভূমিকা পালন করবেন সেটা গোটা দেশের কাছে একটা ইতিহাস রচনার হয়ে থাকবে। করণা পরিস্থিতিতে বিহারের যেভাবে তারা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন সেই জায়গা থেকেই 100% হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা এবং তার সব সদস্য সদস্যরা। গতকাল টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে রাসবিহারী এভিনিউ পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে যে হামলা হয়েছে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফের আবারও রাজ্য প্রশাসনের দিকেই অঙ্গুলি নিক্ষেপ করেছেন। তিনি বলেন কংগ্রেসের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এনেছে তার ফলে তিনি রীতিমতো স্থম্ভিত। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পরেও বেশকিছু পদাধিকারী অফিসার কে ও এস ডি পদে নিযুক্ত করছে এই সরকার, যাদের কাজ হলো রাজ্য সরকারের কাজ কে রাজনীতিকরণ করে মানুষের কাছে তুলে ধরা, যা কখনোই একটা সরকারের থেকে আশা করা যায় না এবং এটা গণতন্ত্রের ওপর অনেক বড় আঘাত আনবে।

নির্বাচন কমিশনকে আমার কোন বার্তা দেওয়ার নেই এই কারণে যে নির্বাচন কমিশন এবারে যে নির্বাচন পরিচালনা করবে পশ্চিমবঙ্গে তাতে আমার বিশ্বাস 100% হিংসামুক্ত নির্বাচন হবে এই রাজ্যে। আমি সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব রক্ত ঝরিয়ে নয় হিংসার মধ্যে দিয়ে নয় সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে একদিকে প্রতিষ্ঠা করুন এবং সারাদেশের কাছে এবারের নির্বাচন যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে সেদিকে নজর রাখুন। আমার কাছে 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সব তথ্যই আছে। আশা করব সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সকলেই সেদিকে নজর রাখবেন। তবে নির্বাচন কবে হবে সেটা এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কমিশন কিছু না জানালেও নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনের একদিকে বরফি প্রশংসা ও অন্যদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার সকলের মধ্যে সেইবার্তাকেই পৌঁছাতে চাইলেন যার মাধ্যমে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন যেন অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে হয়।