এই মুহূর্তে জেলা

বাঁকুড়ায় এসে কৃষক সুরক্ষা অভিযান কর্মসূচি পালন করলেন রাহুল সিনহা ।

বাঁকুড়া , ১৩ জানুয়ারি:- বুধবার বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র কাকর ডাঙ্গা মোড়ে বিজেপি নেতা বাপি হাজরার শেষ ঠিকানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং মদন মিত্রকে একহাত নেন। মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে মদন মিত্রের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রসঙ্গে বলেন, দেখুন ওটাকে এতদিন পার্টি থেকে বের করে রেখেছিল পার্টিতে ঢোকার চেষ্টা করছিল কিন্তু ঢুকতে দিচ্ছিল না তৃণমূলে তখন জয় বজরং বালি বলে মিছিলে হাঁটছিল। এখন মমতা সংকটে তাই ওকে একটু বলার জন্য অধিকার দিয়েছে। এখন বেশি বেশি বলে মমতাকে খুশি করার চেষ্টা করবে বেশি বেশি বলে মমতা ব্যানার্জির কাছে আসার চেষ্টা করবে। ওর লড়াইটা ব্যক্তিগত লড়াই ব্যক্তিগত মমতা ব্যানার্জির কাছে আসার লড়াই এটা কোন রাজনৈতিক লড়াই নয়। তাই ওর বক্তব্যের আপাতত কোনো সারমর্ম নেই। কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশেষে মেনে নিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এটাও সাধারণ মানুষের সঙ্গে একটা ধোকা যে আমরা কৃষক সম্মান নিধির টাকা বাংলার মানুষকে দিতে চাই এই মর্মে কেন্দ্র সরকার কে চিঠি দিয়েছি। তিনি বলেন এই চার মাসের মধ্যে উনি কি করে কৃষকদেরকে টাকা দেবেন তাছাড়া গত দু’বছরে কৃষকরা টাকা পেল না এই দু বছরের কৃষকদের টাকার সুদ মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিতে হবে বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।

রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস কে আক্রমণ সানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল স্বামীজি কে নিয়ে রাজনীতি করল তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা তো চিরকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করি কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তো করতো না তার কারণ যদি একজন সন্ন্যাসীর জন্মদিন পালন করি তাহলে মুসলিম ভোট কেটে যায়। আর এখন বাঁচার জন্য স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে ওদের। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে তিনি বেলুট রসুলপুর পঞ্চায়েতের সাইবুনি গ্রামে কৃষক সুরক্ষা অভিযান কর্মসূচি পালন করেন।সন্তোষ বাউরী, সুশান্ত নন্দী, অনন্ত নন্দী, সন্তোষ আকুরে নামের চার জন কৃষকের বাড়ি থেকে এক মুষ্টি করে চাল সংগ্রহ করেন এবং সুশান্ত নন্দীর বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন , যেভাবে কৃষক পরিবার আপ্যায়ন করল যেন মনে হচ্ছে আত্মীয়র বাড়িতে খেলাম। এছাড়াও তিনি বলেন কৃষকের নুন যখন খেয়েছি তখন তার গুন অবশ্যই গাইবো। রহুল সিংহ গ্রামে আশায় খুশি গ্রামের মানুষরাও। সুশান্ত নন্দী বলেন আমি খুব খুশি উনি খেয়ে বলেন রান্না-বান্না খুবই ভাল হয়েছে। মেনুতে ডাল আলু পোস্ত বেগুন ভাজা পায়েস মিষ্টি পাপড় ছিল বলে তিনি জানান।