এই মুহূর্তে জেলা

অভিনব দৃশ্য গোঘাটে ,বাদুড় সংরক্ষণ করছে এলাকার মানুষ

হুগলি , ১৫ ডিসেম্বর:- বাদুড় নিয়ে যেন গর্বের শেষ নেই এই এলাকার মানুষদের ।বাইরে থেকে এই এলাকায় কেউ এলে তেঁতুল গাছের কাছে নিয়ে যান ঝুলন্ত অবস্থায় বাদুড় দেখাতে। এখানকার বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে ফলের গাছ। যাতে এলাকার কোনো বাদুড় অভুক্ত না থাকে। বাদুড়দের বাসস্থান তেঁতুল গাছগুলোতে কেউ ঢিল ছুড়লে সহ্য করতে পারেনা এলাকার বাসিন্দারা। হুগলি জেলার গোঘাট ২ নম্বর ব্লকের মান্দারণ পঞ্চায়েতের শকুনজোলায় ২২০ ঘর সংখ্যালঘু মানুষের বসবাস। বংশানুক্রমে তারা এলাকায় বাদুড় সংরক্ষণ করে আসছেন। এলাকার বেশকিছু তেঁতুল গাছে কয়েকহাজার বাদুড় নিশ্চন্তে ঝোলে। গ্রামবাসীদের জন্য তাদের উপর আসেনা কোনো আঁচ। এলাকার এক বাসিন্দা জানান হিতাহিত কিছু না বুঝেই বংশানুক্রমে এভাবেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ হয়ে চলেছে এলাকায়।

বংশবৃদ্ধি হচ্ছে বাদুড়দের। গ্রামবাসীরা আরো জানান সবমিলিয়ে গাছগুলোতে প্রায় চার হাজারের বেশি বাদুড় বসবাস করে। সন্ধ্যার পর বাদুড়গুলি খাদ্যসংগ্রহে চলে যায় দূরের গ্রামে।আবার পরের দিন ভোরের আগে ফিরে আসে।কারো কোনো ক্ষতি করেনা।এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান মাঝেমধ্যে চামচিকে মারার দল আসে কিন্তু তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের।বাইরে থেকে এলাকায় কেউ এলে তাদেরকেও গাছে ঢিল মারতে বারণ করা থাকে।কোনো বাদুড় অসুস্থ হলে দূরের গ্রামে খাবার সংগ্রহে যেতে না পারলে এলাকার তার জন্য ফলের গাছ লাগানো আছে।বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে গ্রামবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বহু পরিবেশপ্রেমী মানুষ।বনদফতরের মতে বাদুড় নিয়ে অযথা আতঙ্কের কোনো কারণ নেই,বাদুড় মারা এমনিতে নিষিদ্ধ।তবে এটা বলতেই হবে এই গ্রামের মানুষরা বংশানুক্রমে এই বাদুড় সংরক্ষণ করে এক বিশেষ নজির গড়েছে।