এই মুহূর্তে জেলা

লকেটকে দস্যুরানী ও দাঙ্গাবাজ বলে কটাক্ষ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

হুগলি , ৭ ডিসেম্বর:- সোমবার সকাল থেকে বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার ও জামিনের ঘটনায় বিজেপি তৃণমূলের অভিযোগ পালটা অভিযোগে উত্তপ্ত শ্রীরামপুর। এ দিন সকালে দলীয় নেতা কবীর শঙ্কর বসুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শ্রীরামপুর বটতলা অবরোধ করে বিজেপি। দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অবরোধের নেতৃত্ব দেয় বিজেপির নেতা পরাগ মিত্র। পালটা অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ও তার দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তারের দাবি করে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মী। বেলার দিকে কবীর শঙ্করকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতেই থানা লাগোয়া বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে অবস্থানে বসে বিজেপির নেতা কর্মীরা। ওই সময় বিজেপি ও তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা পুলিশের সামনেই বচসায় জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ কবীরকে শ্রীরামপুর আদালতে পাঠালে তৃনমূলের নেতা কর্মীরা আদালতের দিকে চলে যায়। অন্যদিকে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন সাংসদ লকেট চট্ট্যোপাধ্যায় ও শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু। লকেট অভিযোগ করেন বিজেপি মহিলা কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে দলীয় কর্মী কবীরের বাড়ির সামনে দলবল নিয়ে হুজ্জুতি করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলবল কে গ্রেপ্তারের দাবি করেন লকেট। বিকেলে আদালত কবীরকে জামিন দিলে লকেট বলেন গণতন্ত্রের জয়। বিজেপি কর্মীদের এভাবে আটকানো যাবে না। পালটা লকেটকে দস্যুরানী ও দাঙ্গাবাজ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ২০২১ সালে সমস্ত জবাব দেব। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হিসেব বুঝে নেব।