হুগলি , ২৯ নভেম্বর:- কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে তারকেশ্বর বিধানসভা তৃনমুল কংগ্ৰেসের ডাকে প্রতিবাদ সভায় তারকেশ্বরের বিধায়ক রচঁপাল সিং কে আমন্ত্রন না জানানোর অভিযোগ তুললেন বিধায়ক নিজে। বিধায়ক দুঃখ প্রকাশ করে একথা জানান, আমন্ত্রন না পেয়ে তিনি বেইচ্চত হয়েছেন। বিষয়টা তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন রচঁপাল সিং। উল্লেখ্য প্রতিবাদ সভার মঞ্চে লাগানো ব্যানারেও একাধিক সাংসদ, বিধায়কের নাম থাকলেও এলাকার বিধায়কের নাম ছিলনা। এ বিষয় নিয়ে তারকেশ্বরে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়তেই সভা শুরু হবার মুখে বিধায়ক রচঁপাল সিং লেখা ছোট একটি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয় ব্যানারের উপরে।
সেই সঙ্গে তারকেশ্বর পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন তারকেশ্বর শহর তৃনমুল কংগ্ৰেসের সভাপতি উত্তম কুন্ডুকে আমন্ত্রন না জানানো উত্তম অনুগামী কর্মীরা ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয় নি। দলের এই বিরূপ সিন্ধান্তের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক শ্রেনীর তৃনমুল কর্মীরা। এ বিষয় নিয়ে কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি কিছু এ বিষয়ে জানেন না। জেলা তৃনমুল কংগ্ৰেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, সমস্যার কথাটা শুনেছি। সমস্যা হয়, সমস্যার সমাধান ও করতে হয়। আমি সব পক্ষকে নিয়ে সমস্যার সমাধান করবো। তারকেশ্বরে তৃণমূলের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বলেন মমতা ছাড়া বাংলায় কোন আন্দোলন হয়নি তাকে ছাড়া যদি কেউ আন্দোলন সংগঠতি করতে পারে,
তাহলে দেখবো সে কতটা বীর, কতটা অক্সিজেন আছে দেখে নেব। যারা মমতার গাছের তলায় থেকে বড় হয়েছে, এখন তারা যদি বিশ্বাস ঘাতকতা করে ছেড়ে কথা বলবো না। শিশির অধিকারীর নাম না করে কল্যাণের বক্তব্য আমি বাবার পরিচয়ে রাজনীতিতে আসিনি লড়াই করতে এসেছি তাই যে মমতাকে মানবে না সে আমার রাজনৈতিক শত্রু। তার সঙ্গে দেখা হবে রাজনৈতিক লড়াই এর ময়দানে। সভা মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ কে তির্যক মন্তব্য করেন। সাংসদ বলেন দিলীপ ঘোষ ক্ষেপা ষাড়ের মতো দৌড়াচ্ছে ২০২১ শে দেখবেন হাত নিচের দিকে পা উপর দিকে থাকবে।