এই মুহূর্তে কলকাতা

জোরাফুলে শুভেন্দু পর্ব এখন অতীত , তবুও হাল ছাড়ছে না তৃণমূল।

কলকাতা , ২৭ নভেম্বর:- শুধু মন্ত্রীত্ব নয়, একে একে সমস্ত সরকারি পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সরকার ছাড়াও দলে একাধিক পদে আছেন শুভেন্দু। সেসব পদ থেকেও তিনি পর্যায়ক্রমে সরে দাঁড়াবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি এখনই পাততাড়ি গুটিয়ে তৃণমূল ছাড়বেন শুভেন্দু ? যদি নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি মুখ খুলতে নারাজ। তবে তাঁর অনুগামীদের দাবি এখনই দল ছাড়ার কথা ভাবছেন না দাদা। গতকাল এইচ আর বিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে শুভেন্দু ইস্তফা দেওয়ার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই পদে নিয়ে এসে দলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়। স্নায়ু যুদ্ধের নিয়ম মেনে চাপ বাড়িয়ে এদিন সকালে তুলে নেওয়া হয় তার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। এর পরেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান শুভেন্দু।

মেল করে রাজ্যপালকে ও তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর হলদিয়া উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইস্তফা দেন কাঁথির বিধায়ক। সঙ্গত কারণেই শুভেন্দুর আশু দলত্যাগ এর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি আজই দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেও খবর ছড়ায়। একটি সূত্রের দাবি শুভেন্দু নাকি আর এস এস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গেও দেখা করার সময় চেয়েছেন। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবিরের তরফে এই খবর সম্পূর্ন অস্বীকার করা হয়েছে। খবর অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফেও। শুভেন্দু অনুগামীদের দাবি দল ও সরকারি পদ ছাড়লেও বিধায়ক পদ থেকে সরছেন না শুভেন্দু।

তৃণমূলের সাধারণ একজন বিধায়ক হয়েই আপাতত তিনি দলে থেকে যাবেন। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে শুভেন্দু বলেছেন, ‘অনেকগুলি পদে রয়েছি বলে ব্যক্তিগত আক্রমণ হচ্ছে৷’ তাঁর যে পদের প্রতি মোহ নেই, তা বুঝিয়ে দিতেই একের পর এক পদ ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু৷ এবং পদহীন হয়ে গেলেও তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব কমবে না, সেটাও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দিতে চান শুভেন্দু অধিকারী ৷ ফলে আপাতত শুধুমাত্র বিধায়ক থেকেই দলের সঙ্গে শুভেন্দুর দর কষাকষি চলতে পারে, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।