এই মুহূর্তে খেলাধুলা

এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম চমকে দিয়েছেন


প্রসেনজিৎ মাহাতো , ২৩ নভেম্বর:- এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটালের বাবা শিবুরাম কোটাল আপ্লুত ছেলে ইতিহাসে নাম তোলায়। জানতেন, দলের পঁাচ অধিনায়কের মধ্যে ছেলের নাম রয়েছে। কিন্তু তা বলে যে এটিকে মোহনবাগানের আইএসএলে অভিষেকেই ছেলে অধিনায়ক হবেন, এটা জানা ছিল না। রোজকারের মতো ছেলের খেলা দেখতে টিভি খুলে বসেছিলেন। ‘ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড’ পরে রিন্টু (প্রীতমের ডাকনাম) মাঠে নামছে দেখে চমকে ওঠেন বাবা। বলছিলেন, ‘পঁাচজনে ওর নাম রয়েছে জানতাম। ম্যাচের আগেরদিন ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, প্রথম ম্যাচে কি ক্যাপ্টেন তুই? ছেলে বলেছিল, ম্যাচের দিন ড্রেসিংরুমে গিয়ে জানতে পারে। তাই ভেবেছিলাম প্রতিযোগিতার পরের দিকে হয়তো ক্যাপ্টেন হবে। এবারে মোহনবাগান প্রথমবার আইএসএল খেলছে। সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে ওর অধিনায়কত্বে দল খেলল, এই অনুভূতি ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তবে ও অধিনায়কত্ব নিতে ভাবে না। ওর কাছে দলকে সাফল্য দেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।

ছোটবেলায় ছেলের হাত ধরে মোহনবাগান মাঠে নিয়ে যেতেন শিবুরাম। বলতেন, ‘দেখ, একদিন তোকে এই ক্লাবে খেলতে হবে। এই ক্লাবের অধিনায়ক হতে হবে।’ আজ সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে। আপ্লুত প্রীতমের বাবা। ছেলেকে পরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন। এবার পাখির চোখ জাতীয় দলের আর্মব্যান্ড। প্রীতমের বাবা বলছিলেন, ‘ইন্ডিয়া টিমের ক্যাপ্টেন যেদিন হবে, সেদিন আরও একটা স্বপ্নপূরণ হবে।’ জেদ, নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রমে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখনও প্রতি ম্যাচের আগে এবং ম্যাচ শেষে বাবার সঙ্গে কথা বলেন প্রীতম। ‘কীভাবে ম্যাচটা খেলব? কোথায় কী ভুল হল? কী করলে আরও ভাল হত? এখনও জিজ্ঞেস করে। আমি সবসময় একটা কথাই বলি, মাথা ঠান্ডা রেখে ম্যাচটা খেলবি। মাঠের ৯০ মিনিট বাবা–মা’কেও ভুলে যাবি। জান লড়িয়ে দিবি’, কথা বলতে বলতে আবেগতাড়িত হয়ে যান প্রীতমের বাবা। মা মিঠু কোটাল বলেন, ‘আশীর্বাদ করুন, ছেলে যেন আরও বড় হয়।’