কলকাতা , ২২ নভেম্বর:- করোনা কালে ফের একবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে সব রাজ্যে করোনার প্রকোপ বেশি, সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এবার বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা ভ্যাকসিন হাতে এলে তার বণ্টন কীভাবে হবে, কারা টিকাকরণে অগ্রাধিকার পাবেন, ইত্যাদি সমস্ত বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই তালিকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের জন্য বাঁকুড়া সফরের কর্মসূচিচে কাঁটছাঁট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাঁকুড়া থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। ওই বৈঠকের জন্য সফর সূচি পরিবর্তন করে সোমবারের বদলে রবিবার বাঁকুড়া সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী তিন দিন অর্থাৎ ২৩, ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বাঁকুড়া সফরে থাকবেন তিনি৷ সূত্রের খবর, বাঁকুড়া থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও।
সম্প্রতি করোনা টিকা নিয়ে কেন্দ্রের উচ্চপদস্থ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সংক্রান্ত কাজে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও তৈরি করেছে কেন্দ্র। টিকা এলে কিভাবে বন্টন করা হবে। কোন টিকা কোথায় পাঠানো হবে সেই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। সোমবার বাঁকুড়া সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ঠিক হয়েছে রবিবার রাতেই বাঁকুড়া পৌঁছাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতে থাকবেন মুকুটমনিপুর গেস্ট হাউসে। এরপর সোমবার সকালেই করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই জঙ্গলমহল সফর পূর্ব নির্ধারিত ছিল। আগামিকাল বাঁকুড়ায় দুটো কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। একটি প্রশাসনিক বৈঠক, অন্যটি প্রশাসনিক গণবন্টনের অনুষ্ঠান। তবে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য এই সফরে কিছু রদবদলও হতে পারে। ভারতে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ।
দেশজুড়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০ লক্ষর গণ্ডি। ভয়ংকর পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লির। ফলে করোনার টিকা নিয়ে আটঘাঁট বেধে নামতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলিও বিভিন্ন সময় করোনার টিকা বন্টনে সাম্যের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাই প্রথমে চড়া সুর থাকলেও পরবর্তী সময় সুর নরম হয় কেন্দ্রীয় সরকারের। এবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেই টিকা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে চাইছেন। উল্লেখ্য, ভারতে বেশ কয়েকটি সংস্থা করোনার টিকা বাজারে আনার দাবি করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আবেদন করেছে। এরমধ্যে কয়েকটির ট্রায়ালও চলছে। ফলে যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় ততই মঙ্গল বলেই মনে করছে আম জনতা।