এই মুহূর্তে জেলা

শিবপুর-কান্ডে তদন্তে পুলিশ। এলাকা থমথমে। এখনও অধরা দুষ্কৃতিরা।

হাওড়া , ১৭ নভেম্বর:- শিবপুরে শ্যুটআউট কান্ডে দুষ্কৃতিরা এখনও অধরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনার পর থেকেই এলাকা থমথমে রয়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে বন্ধ ছিল এলাকার বেশ কিছু দোকানপাট। সিসিটিভির সূত্র ধরেই তদন্তে এগোচ্ছে পুলিশ। শিবপুরের সন্ধ্যবাজার এলাকায় বছর দেড়েক আগে খুন হয় এক দুষ্কৃতী। তার বদলা নিতেই এই খুন কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পরিকল্পনা করেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সোমবার ভাইফোঁটার দিন রাতে প্রকাশ্যে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার রামকৃষ্ণপুর লেনে। প্রকাশ্যেই মহঃ আবদুল্লা নামের এক যুবককে গুলি করে খুন করা হয়। জখম হয় আরও এক যুবক। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মহঃ আবদুল্লা সোমবার রাতে এক যুবকের সঙ্গে রামকৃষ্ণপুর লেন দিয়ে বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন।

তখনই আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে লক্ষ্য গুলি করে। তার মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগে। এলোপাথাড়ি প্রায় তিন রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন আবদুল্লা। এরপর পুলিশ এসে তার দেহ উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনা সম্পর্কে হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপিতা শ্যামল মিত্র জানান, রামকৃষ্ণপুরের মতো জনবহুল এলাকায় এরকম ঘটনা এই প্রথম। দুষ্কৃতিরা পায়ে হেঁটেই এসেছিল। গুলি চালিয়ে এলাকা ধরেই তারা চলে যায়।

এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জখম যুবকের দাবি, ওরা পাঁচজন এসেছিল। এদের মধ্যে ছিল সাহেব আলম, সাদ্দাম, গ্যাঁড়া আর আখতার। ওরাই গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুরনো শত্রুতার জেরেই এইগুলি কান্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। অভিযুক্তরা দুষ্কৃতী দলের হয়ে কাজ করত। তারাই সোমবার গুলি-কান্ডে জড়িত ছিল। মৃতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত মিলেছে। তবে আগে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে গুলি করেছে নাকি গুলি করে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করেছে সেই বিষয় এখনও জানা যায়নি।