বাঁকুড়া , ১৪ নভেম্বর:- বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গন্ধেশ্বরী নদী আর এই নদীর তীরেই অবস্থিত বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান কালী মন্দির। একটা সময় এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। 50 থেকে 60 বছর আগে কয়েকজন সাধক মিলে এই কালীপুজোর শুভ সূচনা করেছিলেন তখন থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে পুজোর জৌলুস বেড়েছে সাধারণ মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে। কিন্তু এবছর করোনা আবহে লোক্ষাতোরা মহাশ্মশান কালী পুজোর আয়োজনে কাটছাঁট করতে হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। প্রতি বছরই এই কালীপুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ঢল থাকে চোখে পড়ার মতো এবং পুজোকে কেন্দ্র করে মেলা বসে।
কিন্তু করোণা আবহে এবছর কোর্টের নির্দেশ মেনে গুটিকয়েক দোকান বসানো হয়েছে। তবে উৎসবে ভাটা পড়লেও মানুষের আনন্দ উচ্ছ্বাসে কোন ভাটা পড়েনি ভাটা পরেনি পূজোর আয়োজনেও। মন্দিরের প্রবেশ দ্বার সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে যা ভক্তদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। অভিজিৎ দত্ত নামে লোক্ষাতোরা মহাশ্মশান কালী পুজো কমিটি সম্পাদক বলেন, করোণা আবহে মন্দিরের প্রবেশ পথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সরকারি নির্দেশ মতো এ বছর উৎসবে কাটছাঁট করতে হয়েছে ।যাতে করে কোথাও জমায়েত না হয় সেদিকেও আমাদের কমিটির নজর রয়েছে বলে তিনি জানান।