কলকাতা , ৬ নভেম্বর:- মাওবাদী কার্যকলাপ দমনে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই জেলায় বর্তমানে মোট যে ১৪ কোম্পানি সিআরপিএফ বাহিনী রয়েছে চলতি মাসেই তাদের তুলে নিয়ে ছত্রিশগড়ে পাঠানো হবে বলে কেন্দ্রের তরফে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য জঙ্গলমহলের এই দুই জেলায় থাকা মোট আট কোম্পানি বাহিনীকে আগেই বিহার নির্বাচনের জন্য তুলে নেওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরের মধ্যেই জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হল।
২০ নভেম্বরের মধ্যে সিআরপিএফের দু’টি ব্যাটালিয়নকে জঙ্গলমহল ছাড়তে বলা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই নির্দেশিকায় উদ্বেগ বাড়ল রাজ্যের। ঝাড়গ্রামের কাঁকরাঝো়ড়, বুড়িঝোড়, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপ, মাঠা এবং পাথরবাঁধ এলাকা স্পর্শকাতর জায়গা হিসেবে পরিচিত। এই এলাকাগুলোয় সব মিলিয়ে ১৪ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। মূলত পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন শিবিরে মাওবাদীদের মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে তারা। এদের মধ্যে ৮ কোম্পানি বাহিনীকে ইতিমধ্যেই বিহারে বিধানসভা ভোটের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬ কোম্পানি বাহিনীকে ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে সিআরপিএফ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বাংলায় সেভাবে বড় ধরণের মাও নাশকতা না হলেও এবছর স্বাধীনতা দিবসে বেলপাহাড়ির ভুলাভেদা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মাওবাদীদের নামাঙ্কিত কিছু পোস্টার পাওয়ার পরই নতুন করে মাও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ-কে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারও পুরোপুরি হাত গুটিয়ে নেই। নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে জঙ্গলমহলের জন্য রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী— ‘স্পেশালি ট্রেন্ড আর্মড ব্যাটেলিয়ন’ বা ‘স্ট্র’ তৈরি করছে নবান্ন।