এই মুহূর্তে জেলা

কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস জীবনতলায় তিনজন কে গুলি করে গ্রেফতার , চুঁচুড়ার বিষ্ণু খুনেও মূল অভিযুক্ত।

সুদীপ দাস , ৩ নভেম্বর:- টানা প্রায় ৩ সপ্তাহের বেশী অধরা থাকার পর সোমবার রাতে দঃ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পরে বিশাল দাস। চুঁচুড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতি বিশাল দাস গত মাসের ১০ তারিখ চুঁচুড়া রায়েরবেড়ে বাড়ির কাছ থেকে অপহরন করে নিয়ে যায় বিষ্ণু মালকে(২৩)। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি বিশালের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বিষ্ণুকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বিশাল সহ তার দলবল। ঘটনায় ইতিমধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুটি জায়গা থেকে বিষ্ণুর দেহের একাধিক অংশ মিললেও মেলেনি তাঁর মাথা। পাশাপাশি অধরা ছিলো বিশালও।

বিশালকে ধরার জন্য গোটা চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশের যখন কালঘাম ছুটেছে তখন বিশাল ছিলো বিশালেই। পুলিশের চিন্তা মাথায় না নিয়ে সে দঃ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলা থানা এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ করতে ঘাঁটি গেরেছিলো। ওই এলাকা বাসিন্দাদের কাছে খবর যায় স্থানীয় ধান জমির মাঝে মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার একটি ঘরে দুষ্কৃতিরা জমায়েত হয়েছে। জীবনতলার তিন তৃণমূল কর্মী কুতুবুদ্দিন সেখ, মোসলেম আলি মোল্লা ও আলমগীর গাজি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই বিশাল এন্ড কোং এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মীই গুরুতর জখম হয়।

তাঁদের প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কোলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরই উত্তেজিত জনতাদের হাতে ধরা পরে যায় বিশাল ও তার দুই শাগরেদ। তিনজনের উপরেই চলে উত্তম-মধ্যম। পরে পুলিশ গিয়ে বিশাল সহ তার দুই শাগরেদকে গ্রেপ্তার করে। আপাতত জীবনতলা থানার হাতেই রয়েছে বিশাল। ক্যানিং মহকুমা আদালতের অনুমতি নিয়ে চুঁচুড়ায় নিয়ে আসা হতে পারে বিশালকে। বিশাল ধরা পড়ার খবরে খুশি বিষ্ণুর পরিবার সহ চুঁচুড়াবাসী। আজ বিষ্ণুর দিদি কাজল মাল বলেন আমি চাই বিশালকে সরাসরি মেরে দেওয়া হোক!

তবে তার আগে আমি বিশালকে একবার সামনে থেকে প্রশ্ন করতে চাই কি করেছিলো আমার ভাই ও আমার ভাইকে কেন ঐভাবে মারলো ? বিষ্ণু নিখোঁজের পর থেকেই এই পরিবারের সাথে থাকা চুঁচুড়ার যুবক সপ্তরথী ব্যানার্জী বলেন বিচার ব্যাবস্থার প্রতি আমার আস্থা আছে, তবে আমি চাই এই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সমাপ্ত করে দোষীদের ফাঁসী কাঠে ঝোলানো হোক।