চিরঞ্জিত ঘোষ , ১ নভেম্বর:- কালি পুজোর মুখে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা ! বেজায় বিপাকে আতসবাজির সাথে যুক্ত কারবারীরা। এতদিন ছিলো শব্দবাজির উপর বিধিনিষেধ। কিন্তু করোনা আবহে গোটা আতসবাজি শিল্পই প্রশ্নের মুখে। বিশিষ্ট চিকিৎসকদের আশঙ্কায় মান্যতা দিয়ে কালি পুজোয় আতসবাজি বন্ধের জন্য কোলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবিরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে করোনা ভাইরাস ফুসফুসে আঘাত করে। আর আতসবাজি থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকারক। সুতরাং এবছর কালিপুজোর মরসুমে ব্যাপক হারে আতসবাজি পোড়ানো হলে করোনার বারবাড়ন্ত বাড়বে। একথাকে মান্যতা দিয়েই আদালতের দ্বারস্থ আইনজীবিরা।
এই মামলায় আইনজীবিদের পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি থাকায় চিন্তার ভাঁজ বাজি শিল্পের সাথে যুক্ত থাকা শ্রমিক থেকে শুরু করে ব্যাবসায়ীরা। শ্রমিকদের বক্তব্য বাপ-ঠাকুরদাদার আমল থেকে তাঁরা বাজি তৈরী করে আসছে। এটাই একমাত্র তাঁদের রুটি-রুজি। এখন যদি পুজোর মুখে বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, তাহলে তাঁরা কি করবে? একই অবস্থা আতসবাজি কারখানার মালিকদেরও। হুগলির বহু মালিকই এখন কারখানা বন্ধ করে বাইরে থেকে বাজি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করে। গোটা প্রক্রিয়ার সাথে কাজ করে বেশকিছু শ্রমিকও। বর্তমানে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণও নিয়ে নিয়েছে। তাঁদের দুশ্চিন্তা এখন যদি আদালত বাজি বন্ধের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে তাঁদের মাঠে মারা যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।