এই মুহূর্তে জেলা

পুলিশ নয় , প্রতারিত ব্যাক্তির জালেই ধরা পরলো প্রতারক।

সুদীপ দাস , ৩১ অক্টোবর:- পুলিশ নয় , প্রতারিত ব্যাক্তির জালেই ধরা পরলো প্রতারক। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো তাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০৯ই অক্টোবর চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত ব্যান্ডেল লীচুবাগানের বাসিন্দা শুভ সুন্দর রায়ের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হওয়া জনৈক যুবক লোন করাতে আসে। সহজ উপায়ে লোন দেবে জানতে পেরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই যুবকের হাতে জমা দিয়ে দেয় শুভ। পাশপাশি লোনের জন্য একটি সই করা চেক দেওয়া হয়। যেই চেকে প্রতারক নিজেই নিজের ম্যাজিক পেন দিয়ে ক্যানসেল লিখে দেয়।

প্রতারক বেড়িয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরই শুভবাবুর মোবাইলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫ হাজার টাকা উঠে যাওয়ার মেসেজ আসে। তড়িঘড়ি শুভ ব্যাঙ্কের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে যে পেন দিয়ে ক্যানসেল লেখা হয়েছিলো চেকে সেটি আসলে ভ্যানিশিং কালি। এরপর শুভসুন্দর এবিষয়ে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ প্রতারকের নাগাল নে পেলেও শুভ তাঁর বন্ধুদের দিয়ে প্রতারককে লোন করিয়ে দেওয়ার টোপ দেয়। সেই টোপেই আজ ধরা পরে প্রতারক। নিজেকে অমিত রায় হিসাবে পরিচয় দেওয়া প্রতারক বর্তমানে চুঁচুড়া থানার হেফাজতে রয়েছে।