এই মুহূর্তে জেলা

বেলুড় মঠে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমারী পূজা সম্পন্ন।

হাওড়া , ২৪ অক্টোবর:- মহাষ্টমীর সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হল। এদিন অষ্টমীর সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হয় কুমারী পূজা। তবে এবার কোভিড পরিস্থিতিতে বেলুড় মঠের কুমারী পুজোয় সাধারণ ভক্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার ছিলনা। রামকৃষ্ণদেবের মন্দিরের পশ্চিম চাতালে এবার কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। করোনা অতিমারীর কারণে এবার পূজা এবং আনুষঙ্গিক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। দেবীর আধার রূপে সাক্ষাৎ দেবীরূপে কুমারীর পুজো করা হয়।

স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয়। দেবী কুমারী দূর্গার একটি রূপ। এই পুজো উপলক্ষ্যে কুমারীকে শাড়ি পরিয়ে ফুল ও গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়।

যেভাবে যে নিয়মে মা দুর্গাকে পুজো করা হয় ঠিক সেই সেই রীতি মেনেই কুমারী পুজো করা হয়। দেবী দুর্গাকে দেওয়া অর্ঘ্য ও নৈবেদ্যই সমর্পিত হয় কুমারীর পায়েও। পবিত্র মন্ত্র পড়ে কুমারীর পুজো করা হয়। আরতি করা হয়। সন্ন্যাসী এবং ভক্তরা কুমারীকে দেবী জ্ঞানে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দেন। উপস্থিত ছিলেন মঠের সংঘাধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজ সহ বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। এবার কোভিড পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছু বিধি মেনে কুমারী পূজা হয়। উল্লেখ্য, এবার কুমারী হিসেবে নির্বাচিত হন আদ্রিজা মুখোপাধ্যায়।