এই মুহূর্তে জেলা

মালিপাঁচঘড়ার ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুর গ্রেফতার।

হাওড়া , ১৩ অক্টোবর:- হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার সালকিয়ায় বাবা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মৃতের স্ত্রী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে হাওড়ার পারিজাত সিনেমা হলের সামনে থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন মৃত অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী কুসুম রায় ও শ্বশুর শঙ্কর সাঁতরা। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তেরা গতকাল রাতে ঘাটাল থেকে পারিজাত সিনেমা হলের কাছে আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায় এবং দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধৃত দুজনের নামেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। ধৃত দু’জনকে মঙ্গলবার হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তা জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে তারপর নিজে আত্মহত্যা করেছেন অভিজিৎ। তবে কিভাবে মেয়েকে মারা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি নর্থ প্রভীন প্রকাশ জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। মোট ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, কন্যাকে খুনের পর নিজে আত্মঘাতী হন বাবা। সোমবার হাওড়ার মালিপাঁচঘড়ায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত অভিজিৎ রায় ( ৩৮ ) ও তাঁর কন্যা প্রীতি রায় ( ৮ ) এর দেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, বিভিন্ন কারণে অভিজিৎবাবুর উপরে চাপ দেওয়া হত। স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের পক্ষ নিতেন।

বেশিরভাগ সময় মেদিনীপুরের ঘাটালে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। অশান্তি করে বেশ কিছুদিন আগে তিনি বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। অভিজিৎ তাঁকে আনতে গেলেও বাড়ি আসছিলেন না। কয়েকদিন আগে অভিজিৎ মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন। তারপরই সোমবার ভোররাতে ঘটে যায় এই ঘটনা। অনেক পরে ঘটনা জানাজানি হয়। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে। মৃত্যুর আগে দাদার মোবাইলে ভয়েজ কলে অভিজিৎ মেসেজ পাঠিয়ে বলে যান তাঁর এই মৃত্যুর জন্য শ্বশুরমশাই দায়ী। পুলিশের অনুমান, মানসিক হতাশায় খুব সম্ভবত মেয়েকে গলা টিপে বা দড়ির ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিজিৎ। ঘটনার তদন্ত চলছে।