কলকাতা , ১১ অক্টোবর:- পুজোর পর করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সংক্রমণ বাড়ার হার ঠেকাতে বদ্ধ পরিকর। সরকারের দেওয়া শারদোৎসবের নির্দেশিকা সকলে যাতে মেনে চলেন তা নিশ্চিত করতে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এই বৈঠক করেন। সব দপ্তরের সচিব, জেলাশাসক থেকে বিডিও পর্যন্ত প্রত্যেকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তিনি। এই বৈঠকের তিনটি মূল বিষয় ছিল তিনটি। একটি হলো, ২৪ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দেওয়া নির্দেশিকা যাতে উদ্যোক্তারা মেনে চলেন তা নিশ্চিত করা।
দ্বিতীয়ত পুরোহিত ভাতা, জয় বাংলা সহ সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা ভাতা যাতে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুজোর আগে পৌছে যায় তার ব্যবস্থা করা। তৃতীয়ত, পুজোর ছুটির মধ্যেও স্বাস্থ্য পরিষেবায় যাতে কোনও রকমের ব্যাঘাত না ঘটে তা নিশ্চিত করা। অঙ্গনওয়াড়ি, মিড ডে মিল এবং আশা কর্মীদের কাজে যেন কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা। ব্লক স্তরে মূলত বিডিওরা কাজ করে থাকেন। তাই মুখ্যসচিব এদিন ভিডিও কনফারেন্সে শুধু জেলা শাসকদেরই নয়, মহকুমা শাসক এবং বিডিওদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
কোনও ভাবেই পুজোর প্যাণ্ডেল ঘেরা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখতেই হবে। প্রত্যেক দর্শক যাতে মাস্ক পরে আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে পুজো উদ্যোক্তাদের মাস্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলো ছাড়াও যা যা নির্দেশ আছে সব মেনে চলতে হবে। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করে নিতে হবে। সব দপ্তরকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভাতার টাকা পৌছে দিতে হবে পুজোর আগেই। সেই সঙ্গে পথশ্রীর কাজ কতটা এগিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা করেন।