এই মুহূর্তে জেলা

পুজোর আগেই রাজ্য সরকারের ঘোষিত পুরোহিত ভাতা চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।


কলকাতা , ৯ অক্টোবর:- পুজোর আগেই রাজ্য সরকারের ঘোষিত পুরোহিত ভাতা চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ওই ভাষা চালু করার বিস্তারিত প্রক্রিয়া স্থির করতে আগামীকাল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। ভাতার পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে আবেদন জমা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন ওই বৈঠকেই স্থির করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৮ হাজার পুরোহিত এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন। তাদের মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।অন্যদিকে, আবাস যোজনা প্রকল্পে পুরোহিতরা বাড়ি তৈরীর জন্য মোট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন। হিন্দু ছাড়াও এই দুই সামাজিক প্রকল্পে খ্রিস্টান যাজক, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের পুরোহিতরা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই পুরোহিত ভাতা চালু করার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে কয়েক জনের হাতে প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন। তারপর এই পুরোহিত ভাতা চালু করতে উঠেপড়ে লাগল নবান্ন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে শীঘ্রই আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, পুজোর আগে ভাতা হাতে পেয়ে যাবেন পুরোহিতরা আবেদন গ্রহণ, প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া তদারকি করবেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

টাকাও চলে যাবে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পুরোহিত কিংবা যাজকরা এই সামাজিক প্রকল্পের আওতায় আসবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অন্য কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নন বা সরকারি পেনশন পান না, এমন ব্যক্তি আবেদন করার যোগ্য। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া যাবে ৬০ হাজার টাকা। বাড়ি তৈরির অগ্রগতি পর্যালোচনা করার পর মিলবে শেষ কিস্তি। এ ক্ষেত্রে তাঁরাই আর্থিক সাহায্য পাবেন যাঁদের মাথার উপর পাকার কোনও ছাদ নেই। তবে থাকতে হবে নিজের নামে এক চিলতে জমি। সেই জমির পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ বর্গমিটার হলেই চলবে। তবে জমি বা তা কেনার সামর্থ্য নেই এমন পুরোহিত-যাজকদের জন্য সরকারি কোনও জমির ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত ‘অফলাইন’-এ আবেদন করার কথা বলা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। এর জন্য সরকারের নির্দিষ্ট ফর্ম (পুরোহিত ভাতা পেনশন আবেদনপত্র) রয়েছে। সেটা পূরণ করে গ্রামীণ এলাকায় জমা দিতে হবে বিডিও অফিসে। আবেদনপত্র প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখবেনব্লক আধিকারিকরা।

তারপরই চূড়ান্ত তালিকা তৈরির জন্য তা পাঠানো হবে জেলাশাসকদের কাছে। পুরসভার ক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমা পড়বে মহকুমা শাসকের কাছে। কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে তা গ্রহণ করবেন মিউনিসিপ্যাল কমিশনার। সর্বশেষ ভাতা অনুমোদনের ছাড়পত্র দেবে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। আবেদনপত্রের সঙ্গে কী কী তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সরকার। পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ডিজিটাল রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড (যদি থাকে), স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিফেট (সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন) এবং আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হতে হলে জমির খতিয়ান ও পরচার জেরক্স কপি জমা দিতে হবে পুরোহিতদের। আগামীকাল জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে আবেদন গ্রহণ ও চূড়ান্ত তালিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা করবেন মুখ্যসচিব। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছে বিডিও, এসডিও সহ জেলা ও মহাকুমা তথ্য আধিকারিকদের।