কলকাতা , ৮ অক্টোবর:- কোথাও চলল জলকামান, কোথাও মুহুর্মুহু ফাটল কাঁদানে গ্যাসের শেল, কোথাও ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাওয়া বিজেপি কর্মীদের রুখতে বেধড়ক লাঠচার্জ পুলিশের। পাল্টা পুলিশের দিকে ধেয়ে এলো ইঁটের টুকরো, কোথাও শোনা গেল বোমা ফাটার শব্দ। বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এই ভাবে দিনভর নানা হিংসাত্মক ঘটনায় উত্তপ্ত রইল শহর কলকাতা এবং সংলগ্ন হাওড়া এবং হুগলি জেলা। যদিও বিজেপির নবান্ন অভিযান ঠেকাতে আগে থেকেই তত্পর ছিল পুলিশ। সাঁতরাগাছি হেস্টিংস এলাকা থেকে শুরু করে বড় বাজার সেন্ট্রাল এভিনিউ এর উপর জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নবান্নের সম্ভাব্য সব প্রবেশপথে তৈরি করা হয় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়।হাওড়া ময়দান ও সাঁতরাগাছিতে ড্রোনে নজরজদারি চালানো হয়। হাওড়া ময়দানে মোতায়েন ছিল রোবো কপ। হুগলি থেকে হাওড়ায় ঢোকার সমস্ত রাস্তাতেই ছিল পুলিশের তল্লাশির ব্যবস্থা। এই তৎপরতা সত্ত্বেও অশান্তি এড়ানো যায়নি। যার জন্য রাজ্য সরকার এবং বিজেপি পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে আইন ভেঙে অশান্তির অভিযোগ তোলা হয়েছে, একইরকম ভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। তবে অতিমারীর আবহে সাম্প্রতিককালে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এই পরিমাণ তৈরি হওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন তাতে কোন সংশয় নেই ওয়াকিবহাল মহলের।