এই মুহূর্তে জেলা

রণক্ষেত্র ডানকুনি , পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম বহু কর্মী , বাদ পড়লো না শ্রীরামপুরের সাংগঠনিক সভাপতিও।


সুদীপ দাস , ৮ অক্টোবর:- বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ ডানকুনিতে। ডানকুনিতে বিজেপি সমর্থকদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ ।প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি কর্মি সমর্থকরা। হুগলির আরামবাগ গুরাপ ধনিয়াখালী চুঁচুড়া পান্ডুয়া বলাগড় সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি কর্মিরা নাবন্নের উদ্যেশ্যে রওনা দেয় দূর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে ধরে। ডানকুনিতে তাদের র‍্যালি আটকায় পুলশি। আজ সকাল থেকেই ডানকুনি দিল্লী রোড ও দূর্গাপুর রোডে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় করা হয়। চিলো ব্যারিকেডের ব্যাবস্থাও। তবে এদিনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ার পরই পুলিশ কঠোর হতে শুরু করে।

ডানকুনিতে শুরু হয় ব্যাপক লাঠিচার্জ। লাঠির ঘা পরতেই ছোটাছুটি শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মীরা। ডানকুনিতে চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার ডঃ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অবিযানে নামে। পুলিশের ঘার ধাক্কায় মাটিতে লুটিয়ে পরেন বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসুও। এখানে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামনও ব্যাবহার করা হয়।

পাশাপাশি নবান্ন অভিযানে যাওয়ার পথে বৈদ্যবাটি নেতাজী মোড়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের। আহত বেশকয়েকজন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে নিয়ে আসা হলো চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে। চারজনকেই ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এঁরা চারজন হলেন বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী, রূপক সাঁধুখা, দীপজিৎ রায় এবং সন্দীপন দে। এদিকে ডানকুনিতে পুলিশের মারে আহতো শ্যামল বর্মন ও স্বপন দেবনাথ নামে দুই বিজেপি কর্মীকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।