এই মুহূর্তে জেলা

ভাঙ্গন পরিদর্শনে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ।


কোচবিহার , ২৩ সেপ্টেম্বর:- তিনদিন ধরে একটানা বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারনে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি নদীতেই জলস্ফীতি ঘটেছে। আর তার প্রভাব পড়েছে কোচবিহার জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। কোচবিহার জেলার নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকার কৃষ্ণপুর সংলগ্ন কালজানি নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তাতে আনুমানিক ৩০টি বাড়ি ও বহু চাষের জমি নদী গর্ভে যায়। এই খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী ওই ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলি পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাথে কথা বলেন। মন্ত্রীর সাথে জেলা সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বিশেষ দলও এলাকায় যান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে কাজ করা একপ্রকার অসম্ভব।

কিন্তু এলাকাবাসীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব এলাকার বাঁধ কিছুটা হলেও সংস্কার করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। পরবর্তীতে বৃষ্টি কমে গেলে শীতের সময় বাঁধের সম্পূর্ণ সংস্কার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পাশাপাশি এদিন এলাকাবাসীর হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রবল ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মন্ত্রীর এলাকা পরিদর্শনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভাঙন দুর্গত এলাকার মানুষেরা। জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গন কবলিত। বেশকিছু বাড়ি এবং কৃষি জমি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।

নদীগর্ভে চলে যাওয়া কৃষি জমির পরিমাণ জানা না গেলেও, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০ টি বাড়ি ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে দেওচড়াই এলাকার ঝরঝরি দাসপাড়া এলাকায় প্রায় দেড়শ ঘর মানুষ বাস করেন। তাদের গবাদি পশু এবং কৃষি জমি রয়েছে। সম্পূর্ণ গ্রামটি কালজানি নদীর ধারে অবস্থিত। একটি বাঁধের উপরে নির্ভর করে বর্ষার এই দিনগুলো কাটে গ্রামের প্রায় হাজার খানেক মানুষের। চলতি বছর লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁধের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখান থেকেই নদীর জল ঢুকছে গ্রামে। সেই বাঁধ অবিলম্বে মেরামতি করে গ্রামবাসীদের কিছুটা সুরক্ষা প্রদানের জন্য বুধবার এলাকা পরিদর্শনে পৌঁছন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।