এই মুহূর্তে জেলা

পুর আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাগরিকদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করছে হাওড়া পুরসভা।

হাওড়া , ৭ সেপ্টেম্বর:- কোভিড সতর্কতা হিসাবে পুর আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিওর মাধ্যমে নাগরিকদের যোগাযোগের ব্যবস্থা করল হাওড়া পুরসভা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আগের মতো প্রয়োজনে  আধিকারিকদের সাথে দেখা করার বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এবার পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গেও ভিডিও যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করা হল হাওড়া পুরসভায়। সামনাসামনি দেখা করে সমস্যার কথা জানাতে না পারার সমাধানের জন্যই চালু হল এই ব্যবস্থা। কোনও নাগরিক পুর-বিষয়ক কোনও সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁকে আর মুখোমুখি সাক্ষাৎ করতে হবে না। প্রথমে পুরসভায় এসে নির্দিষ্ট অফিসারের ঘরের সামনের ভিজিটর রুমে তাঁকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।

এরপর সময় হলে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হবে সেই ঘরেই রাখা একটি মনিটরের সামনে। সেখানে বসেই ওই তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারবেন। কাগজপত্রও তাঁকে ওইভাবেই দেখানো যাবে। এতদিন নাগরিকরা ভিজিটর রুমে অপেক্ষার পর ডাক এলে সরাসরি ওই আধিকারিকের ঘরে গিয়ে দেখা করতে পারতেন। একটি ছোট অফিস ঘরে সারাদিনে অনেকেই আসতেন। এরকম ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। এই কারণেই পুরসভার কর্মী আধিকারিক ও নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এরকম মোট ১৫ টি জায়গায় ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইতিমধ্যে ৮টি ভিজিটর রুমে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পুরসভার যেসব ঘরগুলিতে আধিকারিকের কাছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লোকের যাতায়াত চলে, সেখানকার কর্মীরা পর্যন্ত এত মানুষের আনাগোনায় কার্যত সিঁটিয়ে থাকতেন। মুখে সবসময় মাস্ক পরার পরও অনেকে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন আগেও। পেনশন, বিল্ডিং, সম্পত্তি কর সংগ্রহ বিভাগগুলির সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন যাঁরা আসেন কারও সঙ্গে দেখা করতে, তার একটা বড় অংশই বয়স্ক নাগরিক। পুরকর্মী আধিকারিকদের পাশাপাশি তাঁদের এভাবে অনেকটা বিপদমুক্ত রাখা যাবে বলে আমরা আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে পুরসভার বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট, সম্পত্তি কর বিভাগের ঘরগুলিতে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।