শিলিগুড়ি , ৪ সেপ্টেম্বর:- এ বছর শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার মধ্যে রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার ব্লকের বিধাননগরের মুরালিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম। যদিও রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য রাজ্য যে ছয়জনের নাম পাঠিয়েছিল তাতে নাম ছিল সামসুল আলমের। কিন্তু দিল্লির চুড়ান্ত তালিকায় তিনি ছিলেন না। তবে রাজ্যের তালিকায় তিনি জায়গা করে নিয়েছে। এই খবর পৌঁছাতেই খুশির হাওয়া মুরালিগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রী ও পরিচালন সমিতির মধ্যে। আগামীকাল ৫ই সেপ্টেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হাত থেকে পুরস্কার দেওয়া কথা থাকলেও করোনার কারণে তা শিক্ষকদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হবে ওই পুরস্কার।
মুরালিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম যখন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার নেন তখন হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে। দুটি ঘর নিয়ে এই পথ চলা শুরু হয়। এরপর আসতে আসতে বারতে থাকে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা। আর এখন ২০২০তে এসে সেই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দু হাজার। এমনকি ওই এলাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে ছাত্র ছাত্রীরা আসেন স্কুলে। এই সরকারি হাইস্কুলের লড়াই আর পাঁচটা হাইস্কুলের সঙ্গে হয় বরং এলাকার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সঙ্গেই। এই বিষয়ে মুরালিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম বলেন যে এই পুরস্কার শুধু মাত্র সামসুল আলমের নয়। এই পুরস্কার এই এলাকার অভিভাবক,ছাত্র ছাত্রী,পরিচালন সমিতি ও সর্বপরি আমার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ননটিচিং কর্মীরা। কারণ আমার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং নন টিচিং কর্মীরা যেভাবে পরিষেবা দিচ্ছে তা গোটা পশ্চিমবঙ্গের কাছে ব্যতিক্রমি। তাই এই পুরস্কার আমাদের টিক ওয়ার্কের।
আমি মনে করি এই পুরস্কার দেখে অন্য স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে পরিচালন সমিতি অনুপ্রাণিত হবেন। আমাকে প্রথমে ডিআই অফিস থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বিষয়টি বলা হয়। এরপর অভিনন্দনের বন্যা শুরু হয়ে যায়। সকলের হয়তো একটা আশা ছিল এই স্কুলটি রাজ্যের মধ্যে মডেল। এবং সারা পৃথিবীর ১৩টি দেশের প্রতিনিধি ঘুরে গেছেন। আমরা ২০১৩ সালে আমরা যামীনি রায় পুরস্কার পাই। এবং রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে যদি শিক্ষক শিক্ষিকারা টিম ওয়ার্ক করে কাজ করা যায় তাহলে হয়তো এই রকম ফল পাওয়া যেতে পারে। তার কথায় দায়িত্ব আরও বাড়ল।