এই মুহূর্তে জেলা

নিমতায় শারীরিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল বিজেপির চা চক্র।

উঃ২৪পরগনা , ৩ সেপ্টেম্বর:- নিমতায় শারীরিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল বিজেপির চা চক্র। এমনকি মাস্ক ছাড়াও দেখা যায় বহু বিজেপি কর্মী সমর্থককে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে চলে চা চক্রে। চা চক্রের মঞ্চেই মাস্ক ছাড়া নেতৃত্বকে দেখা যায়। এমনকি মঞ্চেও ধরা পড়েনি কোন শারীরিক দূরত্ব। এ দিন চা চক্রে যোগ দিয়ে বিজেপি সভাপতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারের তুলোধনা করেন বিভিন্ন ইস্যুতে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গ্যাস, চাল, ডাল সবকিছু দিচ্ছে কিন্তু রাজ্য সরকার তা সঠিক ভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছে না। এমনকি কাউকে তা নিতেও দিচ্ছে না। জেইই ও নিট নিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, পরীক্ষার আগের দিন লকডাউন করে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা বন্ধ করে দিচ্ছে। আর পরে বলছে পরীক্ষার্থীরা আসতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করছে।

গত সপ্তাহে নিমতাতেই তার চা চক্রে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করা প্রসঙ্গে বলেন, ওরা মঞ্চ ভাঙ্গুক আমরা সরকারই ভেঙে দেবো। এ দিন বেশ কয়েকজন স্থানীয় যুবক বিজেপিতে যোগদান করেন। পাশাপাশি জিএসটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি শুধু চিঠি লেখেন। কোন মিটিংয়ে যান না। কাউকে মিটিংয়ে যেতে দেন না। তাহলে সমস্যা বুঝবেন কি করে। উনি শুধু বলেছে এত টাকা ওত টাকা বাকি। কোন খাতে কত বাকি বলছেন না। জিএসটি নিয়ে সারা দেশের সাথে আলোচনা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছে পরিস্থিতির কথা। ওনার হাতে টাকা আসছে না ঝাড়তে পারছেন না বলে চিন্তা। কেন্দ্রীয় সরকার 21 লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে যা থেকে সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে উপকৃত। দিদির ভাইয়ের কাটমানি পাচ্ছেন না তাই এসব উল্টোপাল্টা বলছে।

মানুষ আসে অনেক আশা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। বাংলায় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আসার পর মহিলাদের দুর্গতি সবথেকে বেশি বেড়েছে। আজ বিরাটির আলিপুর মোড়ে চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ” বাংলায় মহিলাদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হচ্ছে। 60 বছরের মহিলা পর্যন্ত এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয়। সামনে দুর্গা পুজো। সেই দুর্গাপুজোয় মায়ের কাছে প্রার্থনা করব অন্ততপক্ষে এ রাজ্যের মহিলা যেন সুরক্ষিত থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর কোন আশা নেই। উনি শাড়ে নয় বছরে কিছু করতে পারেননি।