এই মুহূর্তে জেলা

পৌষ মেলার মাঠের নির্মীয়মান পাঁচিল গুঁড়িয়ে দিলেন স্থানীয়রা।


বীরভূম , ১৭ আগস্ট:- বিশ্বভারতীর ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় লেখা হলো সোমবার সকালে বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর হিটলারি শাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন কয়েক হাজার মানুষ ক্ষিপ্ত জনতা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বিশ্বভারতীর গেট । ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ঘোষণা করেন পৌষ মেলার মাঠ উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে । এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী থেকে শুরু করে আশ্রমিক অধ্যাপক ছাত্রছাত্রী সহ বোলপুরের সাধারণ মানুষ । আগুনে ঘৃতাহুতি পরে শনিবার সকালে যখন বিশ্বভারতীর নির্দেশে এক ঠিকাদার প্রাচীরের কাজ শুরু করতে যায় তখন বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে বাধা দিয়ে ঠিকাদারকে হটিয়ে দেওয়া হয় । সেদিনের মত কাজ বন্ধ থাকলেও রবিবার সকাল বেলায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর সমস্ত অধ্যাপক অশিক্ষক কর্মীদের নিয়ে বড় মিছিল করে মাঠে প্রাচীরের কাজ শুরু করে ।

প্রাচীর এর বিরোধিতা করে আন্দোলনরত সাধারণ মানুষ সংখ্যায় কম থাকলে সেই সময় পিছু হটে যায় । কিন্তু সোমবার সকাল হতেই হাজার হাজার মানুষ পথে নামে বিশ্বভারতীর উপাচার্য এই ঘৃণ্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে । রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী এলাকা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আঁচে গুড়িয়ে যায় শান্তিনিকেতন থেকে বিশ্বভারতী ঢোকার মুখের বড় গেট । ভেঙে ফেলা হয় প্রাচীর, সহ প্রাচীর তৈরীর সমস্ত সামগ্রী । এদিনের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে পা মেলায় বহু সাধারণ মানুষ , বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিকরা । নজরে আসে হুইলচেয়ারে করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক এই বিক্ষোভে সামিল হোন । বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র নরেশ বাউরির জানান , এই উপাচার্য কে অবিলম্বে বিশ্বভারতী থেকে সরিয়ে নেবার জন্য আচার্যের কাছে আমরা অনুরোধ করছি । বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এই ধরনের কলঙ্কময় দিন কখনো আসেনি । একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে ।

বিশ্ববাসীর কাছে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে । নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করা শুরু করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী শুভলক্ষ্মী গোস্বামী জানান , আমরা বিশ্বভারতী কে খোলা চোখে দেখতে অভ্যস্ত গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে পরম্পরায় আমরা অতিবাহিত করতে চা ই। তাই এই প্রাচীরে ঘেরা বিশ্বভারতী আমরা দেখতে চাই না । জেলবন্দি বিশ্বভারতী কখনোই বিশ্বভারতীর কাম্য নয় । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিশ্বভারতী কে বিক্রি করে দিচ্ছে । এমনই অভিযোগ প্রাক্তনীদের । তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না । এই মুহূর্তে প্রত্যেকেই প্রযুক্তির উপর নজর রাখে পরে তাদের বক্তব্য জানাবে বলে মন্তব্য করছেন।