কলকাতা , ১৬ আগস্ট:- প্রতিবছরই বর্ষায় দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙে নোনাজল গ্রামে ঢুকে যায় । প্রশাসনকে বারংবার সেই বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে চরম সংকটের মুখে পড়তে হয় । এবার বাঁধ নির্মানে স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার । রবিবার ভারত সেবাশ্রম সংঘ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় একথা বলেন।তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এবার ওইসব এলাকার বাঁধগুলিকে কংক্রিটের করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । এই বাঁধের ওপরের রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে । আবার দীর্ঘদিন মজবুত থাকবে ওই বাঁধ ।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের বছর বছর দুর্ভোগের শিকার হতে হবে না । ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে লায়ন্স ক্লাব অব নর্থ কলকাতা ও রবীন্দ্র সরোবর ফ্রেন্ডস ফোরামের সহযোগিতায় উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় এক লক্ষ ফলের গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । এই কর্মসূচির সূচনা হয় এদিন কলকাতার বালিগঞ্জ ভারত সেবাশ্রম সংঘের সভাগৃহে । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় , কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় , প্রাক্তন কাউন্সিলার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় , ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ , কার্যকরী সভাপতি স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ প্রমূখ । ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন , আম্ফানের তান্ডব ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই 24 পরগনা সহ অন্যান্য জেলায় ।
উপরে পড়েছে কয়েক লক্ষ গাছ । তাই দ্রুত পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ঝড়খালি , নামখানা , মৌসুনি দ্বীপ , কুমিরমারি , ছোট মোল্লাখালি , বাসন্তী সহ বিভিন্ন জায়গায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । এদিন সংঘের প্রধান কার্যালয় থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হয় । কয়েক দিনের মধ্যেই ওই সব এলাকায় বৃক্ষরোপণ এর কাজ শেষ হবে। গাছগুলি যাতে নষ্ট হয়ে না যায় তাই সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা সেগুলি নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন । এবছর সংঘের পক্ষ থেকে যে বিরাট করোনা সেবাকার্য করা হয়েছিল তাতে সংঘের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে যেসব স্বেচ্ছাসেবকরা অকুতোভয় হয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করেও সেবাকার্যে যোগদান করেছিলেন তাদের দশজনকে সংশাপত্র প্রদান করা হয় সংঘের পক্ষ থেকে।