এই মুহূর্তে জেলা

বাজার দরের রক্তচক্ষুতে নাভিশ্বাস সাধারনের !

সুদীপ দাস , ২৬ জুলাই:- একে করোনায় রক্ষে নেই , বাজারদরের রক্তচক্ষুতে নাভিশ্বাস সাধারনের ! কেন্দ্রের আনলক-টু-তেই রাজ্য সাপ্তাহিক লকডাউনের কথা ঘোষনা করেছে। যার ১ম দু’দিন ব্যাপক প্রভাবও পরেছে। তবে ২য় দিনের লকডাউনের পরের দিনই বাজারে বেরোনোর মানুষদের সাথেই পাল্লা দিয়ে বাড়লো বাজারদরও। রবিবাসরীয় সকালে খাদ্যরসিক বাঙালীরা ব্যাগ হাতে ভিড় জমান বাজারে। লকডাউনের দিন রাস্তাঘাটে পুলিশি নজরদারি থাকলেও রবিবার কিন্তু তার সিঁকিভাগও লক্ষ্য করা গেলো না। ফলে সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করেই বাজারে ভিড় জমালেন ক্রেতেরা । চুঁচুড়ার চকবাজারের বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অনবরত মাইকিং প্রচার চললেও সেদিকে নজর ছিলো না কারোর।

এদিকে করোনা ভাইরাসের মতই বাজারদরও কিন্তু চরচর করে বেড়েই চলেছে। সপ্তাহখানেক ধরে বাজারদর ছিলো উর্দ্ধমুখী। চলতি সপ্তাহে দু’দিন লকডাউনের জেরে সপ্তাহান্তে বাজার দর হয়ে উঠলো আকাশছোঁয়া। আলু ৩০ এর কাঁটা পার করার অপেক্ষায়। এদিন সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কাঁচালঙ্কা খোলা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এই তো সেদিনের ২০/২৫-এর পেঁয়াজ আজ ৩০-এ ঠেকেছে। যা শুনে অনেক বাঙালি হেঁসেলেই আজ ঝাঁঝ উধাও হয়েছে। ৩০/৩৫এর নীচে কোন সব্জি বিকোয়নি এদিন। তবে বাজারদরের মোকাবিলায় এদিনই সরকারীভাবে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রী হয়েছে। চুঁচুড়া বড়বাজারের সরকারী বিপনী “সুফল বাংলা”য় এদিন ২৫টাকা কেজি দরে সেই আলু বিক্রি হলো।

জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৩ কেজি করে আলু দেওয়া হয়েছে। বাজারের তুলনায় পার্থক্য খুব বেশী না হলেও অনেকের মতে আর একটু কমলে ভালো হতো তবে এর ফলে বাজারের আলুর দাম আর সেভাবে বাড়বে না। অনেকেই আবার রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি। এখানে আলু কিনতে আসা চুঁচুড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় রায় বলেন বাজার দরের থেকে তুলনামূলক কম দামে রাজ্য সরকার সব্জি বিক্রি করছে। বর্তমান অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে সরকার এর থেকে আর বেশী কি দেবে। তবে চুঁচুড়ার আর এক বাসিন্দা সপ্তর্ষি ব্যানার্জী বলেন “সুফল বাংলা”র আলুর মান অত্যন্ত খারাপ। এই আলুর বাজার দর আরও কম। বাংলার মানুষকে যদি সত্যিই খাওয়াতে হয় তাহলে এখন সরকারীভাবে কেজিপ্রতি আলুর দাম হওয়া উচিত ছিলো ১২ থেকে ১৫টাকা।